স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালনে এরাজ্যের প্রায় ২০৫৯জন বিচারাধীন বন্দিকে প্যারোলে এবং অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তিন মাসের জন্য মুক্তি পেয়েছেন এই বন্দিরা। এদের মধ্যে খোকনও একজন।
২০০৬সালে এক প্রতিবেশীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। সেই থেকেই জেলবন্দি সে। একসময় দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনগারেও ছিল। পরে তাকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মুক্ত সংশোধনাগারে। সংশোধনাগারে থেকেই সে কাকলিকে বিয়ে করে।
তার বিয়ের ঘটনাও বেশ চমকপ্রদ। মুক্ত সংশোধনাগারে থাকাকালীন দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মুখ থেকে কাকলির অসহায় অবস্থার কথা জানতে পারে খোকন। এক বন্ধুকে নিয়ে সে চলে যায় খড়্গপুরের গোকুলপুরে মেয়ের বাড়িতে। কয়েকদিন যাতায়াতের পর প্রেম এবং এরপর অসহায় মেয়েটিকে বিয়ে করে সে। শালবনীর কর্ণগড় মহামায়া মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল তাদের। মুক্ত সংশোধনাগারের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও মাকে রেখেছে সে। মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিকদের সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাইরে ঘুরে কাজ করার অনুমতি রয়েছে। বিয়ে বা সংসার কেউ করতে চাইলেও কোনও বাধা নেই। পরে কাকলি সন্তানসম্ভবা হলে খোকন নিজের বাড়িতে দিদির কাছে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেয়। কাকলি বলেন, এইসময় ওকে পেয়ে আমিও খুব খুশি। আমরা একদিন পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, মুক্ত সংশোধনগারের মধ্যে অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে। আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম।