বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
লকডাউন সত্ত্বেও জেলায় বিভিন্ন জায়গায় মানুষজন বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন বলে অভিযোগ। সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে কিংবা আড্ডার ঠেকে ভিড়টা কম হলেও সেটা বন্ধ হয়নি। গোড়ার দিকে পুলিস সক্রিয় হলেও এই মুহূর্তে পুলিস অনেকটাই রক্ষণশীল। এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন ১০০শতাংশ সফল করতে র্যা ফ নামানো হবে বলে গুজব ছড়িয়েছে। তাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী জোগানের উপর প্রভাব পড়েছে। তমলুক, কাঁথি ও এগরা শহরে বহু ওষুধ দোকানেও তালা ঝুলছে।
ইতিমধ্যেই এগরা শহরের বাসিন্দা চিকিৎসক সুভাশিস মাইতির স্ত্রী এবং পিসিমা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সন্দেহে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চারজন এবং পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। জেলায় ৩৬হাজার ব্যক্তি এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। আর ৮০০জন বিদেশ ফেরত আছেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই জ্বর, কাশিতে ভুগছেন। তাঁদের নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৯০শতাংশ চিকিৎসকের চেম্বারও বন্ধ। নার্সিংহোমেও চিকিৎসকের যাতায়াত কমে গিয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় অসুস্থ হলেও অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারছেন না। এদিকে জ্বরে ভোগা মানুষজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়িও মিলছে না।
বর্গভীমা মাতা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার অতিরিক্ত জেলাশাসক(ট্রেজারি) শেখর সেনের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এক লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১৫হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। তমলুক জেলা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য ১০লক্ষ টাকা বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে দেন তমলুকের বিধায়ক অশোক দিণ্ডা।