ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
কলকাতার নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ় গত ১২মার্চ এগরা শহরে দীঘা মোড়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখানে বিদেশ থেকে আগত অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন। ১৮তারিখ এগরায় ওই প্রৌঢ় অসুস্থ হতেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। বৃহস্পতিবার প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর এগরায় সুভাশিস মাইতির বাড়িতে যায়। তাঁরই ছেলের বিয়ে হয়েছে ১৩মার্চ। সেই অনুষ্ঠানে নয়াবাদের ওই প্রৌঢ় এসেছিলেন। আপাতত সুভাশিসবাবু, তাঁর স্ত্রী, সদ্য বিবাহিত ছেলে ও বউমা, সদ্য ডাক্তারি পাশ মেয়ে, তিন পরিচারিকা সহ মোট ১৩জনকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। শহরের দু’টি হোটেলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়ে সেখানে ২৭জনকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বউভাতে আমন্ত্রিত ৫৭২জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিদেশ থেকে আসা ৫৮৮জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ২১জনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হয়েছে। এছাড়াও অন্য রাজ্য থেকে আসা ২৪হাজার ৮৫৩জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
মহিষাদলের গড়কমল এলাকার রাজশেখর রায়ের জার্মানি থেকে ফিরে আসার ট্রাভেল হিস্ট্রি আছে। রাজারহাটে কিছুদিন থাকার পর সম্প্রতি মহিষাদলের বাড়িতে তিনি ফিরে এসেছেন। তাঁর জ্বর ও গলাব্যথার উপসর্গ রয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এনিয়ে একটি খবর এলাকায় চাউর হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় কয়েকজন তা নিয়ে জেলাশাসককে ফোনও করেন। তাছাড়াও স্বাস্থ্যদপ্তরের যুগ্ম সচিব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করে ওই ব্যক্তির জার্মানি থেকে ফেরার কথা উল্লেখ করেন। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। শনিবার তাঁর নমুনা পাঠানো হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিদেশ থেকে আসা ১৭২জন এবং অন্য রাজ্য থেকে আসা আরও ২০হাজার ৭৪৯জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আইসোলেশনে আছেন মোট ন’জন। জেলায় মোট ৭৮টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। শুক্রবার সবংয়ে সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ঘুরে দেখেন রাজ্যসভার সদস্য মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া।