পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
রবিবার পুরসভা এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে পুরবোর্ডের জনপ্রতিনিধিরা, অফিসাররা ছাড়াও ছিলেন পিএইচই, সেচদপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠকে স্থির হয়েছে, তিন হাজার লিটারের ১০টি জলের ট্যাঙ্ক দিয়ে ওই ক’দিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি পুরসভার নিজস্ব যে ২১টি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে সেগুলিও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে পরিষেবা দেওয়া হবে। সঙ্কট কাটাতে পিএইচই পুরসভাকে দু’টি ট্যাঙ্ক দিয়েছে। পুরসভার তরফে আরও তিনটি ট্যাঙ্ক চাওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মেয়র গৌতম দেব বলেন, গতবছর ৩ অক্টোবর ভোররাতে সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ে তিস্তা নদীতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস হয়। সেই বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। তিস্তার জল বর্ষাকালের মতো এখনও ঘোলা। শীতের পর গ্রীষ্মকালেও জলের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। জল ঘোলা থাকায় এবার শীতে গজলডোবায় পরিযায়ী পাখির দেখাও সেভাবে মেলেনি। ওই বিপর্যয়ে তিস্তার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা সংস্কার করা হবে। এই সঙ্কটের জন্য ১০ মে থেকে ১৫-২০ দিনের জন্য তিস্তা থেকে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এর জেরে সাময়িক পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেবে। তবে পুরসভার তরফে সেই সঙ্কট মোকাবিলার জন্য সমস্তরকম প্রস্তুতি আগাম নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, পানীয় জল সরবরাহ বন্ধের খবরে চিন্তায় পড়েছে পুরবাসী। শহরের সুভাষপল্লির বাসিন্দা স্বাস্থ্যকর্মী শ্রবণী সরকার, পূর্ব বিবেকানন্দপল্লির গৃহবধূ মন্দিরা কুণ্ডু জানান, এমনিতেই জলের সমস্যা শহরে। ক’দিন ধরে দু’বেলা ঠিকমতো জল আসছে না। তারউপর এমনটা হলে সমস্যা আরও বাড়বে। পুরসভা জলের ট্যাঙ্ক পাঠালেও তা বস্তি এলাকায় পাঠায়। জল না মিললে বিপদ বাড়বে।
এই পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় নির্বাচনের আগেই সেই কাজ করার উদ্যোগ নেয় সেচদপ্তর ও পিএইচই। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়াতে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যায়। যদিও ওই কাজের গুরুত্ব বোঝানো হয় নির্বাচন কমিশনকে। এরপরেই সংশ্লিষ্ট ওই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সবুজ সঙ্কত দেওয়া হয় দুই দপ্তরকে। কমিশনের সবুজ সঙ্কেত পেতেই কাজের তোড়জোড় শুরু করে দুই দপ্তর। কিন্তু ওই কাজ করতে গেলে তিস্তা থেকে পুরসভার জল সরবরাহের কাজ প্রায় একমাসের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। সেই সমস্যা নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে দুই দপ্তরের আধিকারিকরা।