সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মাধ্যমিকে পাশের হার বেশ কম। আর তা নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল। করোনা পরবর্তী সময় থেকে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে ভালো ফলাফল না হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্কুলে পড়াশোনার মান এবং পড়ুয়াদের অমনযোগী হওয়ার বিষয়টি কারণ হিসেবে উঠে আসছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্কুলছুটের সংখ্যাও বেড়েছে। এজন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। ধূপগুড়ির পশ্চিম মল্লিকপাড়া বিদ্যানিকেতন ২০০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও পাশ করেছে ১৭৬ জন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে জয়দীপ রায় ৫৫৯। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রনজিৎ সেন বলেন, সার্বিক ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণকে দায়ী করা যাচ্ছে না। তবে করোনা পরবর্তীতে পড়ুয়ারা অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ছাত্র কোনওরকমে পাশ করেছে।
ধূপগুড়ির ডাউকিমারী এলাকার অভিভাবক অর্জুন রায় বলেন, বিশেষ করে গ্রামের দিকের স্কুলগুলিতে ঠিকমতো ক্লাস হয় না। পড়ুয়ারাও সেভাবে স্কুলে যেতে চায় না। এই পরিস্থিতির বদল দরকার।
প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার পরিকাঠামো শক্ত করা দরকার বলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ দেব মনে করছেন। তিনি বলেন, ব্যতিক্রম অবশ্য রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে করোনা পরবর্তীতে স্কুলগুলির শিক্ষকরাও গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছেন। স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যার অভাব রয়েছে। পড়ুয়ারাও এখন স্কুলে আসতে চাইছে না।