ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর সূত্রে খবর, জেলার গোয়ালপোখর ব্লকের জলের সঙ্কট সবচেয়ে বেশি। তার অন্যতম কারণ এই ব্লকে পানীয় জলের তেমন কোনও বড় প্রকল্প নেই বললেই চলে। জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে মে মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট দপ্তর। হেমতাবাদ ব্লকের বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি জায়গায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সমস্যা মেটাতে সেখানে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে বলে জানান জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার। একই সঙ্গে চোপড়া ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জল সঙ্কট মেটাতে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রেখেছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত বা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জলের অভাবের কথা জানানো হচ্ছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরকে। তারা তাদের জেলা জুড়ে থাকা বিভিন্ন ওভারহেড রিজার্ভার থেকে ট্যাঙ্কারে জল ভরে নির্দিষ্ট এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির নীচের জলস্তর নেমে গিয়েছে ৬ থেকে ৭ ফুট। যার জেরে গরম বাড়তেই জল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জল সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। চোপড়া ও হেমতাবাদের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ করণদিঘি, গোয়ালপোখর-১ এবং ২ ব্লক ও ইসলামপুর ব্লকেও জলস্তর নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে রায়গঞ্জ ও ইটাহার ব্লকে জল সরবরাহ আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রয়োজন অনুসারে কখনও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বা শহরাঞ্চল হলে পুরসভার কাছ থেকে জল সরবরাহের ট্যাঙ্কার নেওয়া হবে। সময় প্রতি বছরই মাটির নীচের জলস্তর নেমে যায়। তাই জল সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে বিগত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব চিত্র