সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সুফল চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এই জেলায় খুব বেশি আমের চাষ হয় না। ইসলামপুর মহকুমার কিছু এলাকায় সূর্যাপুরি আম পাওয়া যায়। কিন্তু এর প্রচার ও প্রসারের অভাব রয়েছে। আম্রপালি, মল্লিকা, ল্যাংড়া, হিমসাগর সহ বিভিন্ন জাতের আম বাজার ছেয়ে গিয়েছে। দপ্তর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে সূর্যাপুরি আমের কলম দেওয়া চারা চাষিদের মধ্য বিলি করা।
এলাকার প্রবীণরা বলেন, ৫০ থেকে ৯০ এর দশক পর্যন্ত ইসলামপুরে সূর্যাপুরি আম বিখ্যাত ছিল। প্রতিটি বাড়িতে এই জাতের আম গাছ ছিল। স্বাদ ও গন্ধে এই আম অতুলনীয়। এলাকায় স্বাভাবিক উদ্ভিদের মতোই যেখানে সেখানে সূর্যাপুরি জাতের আম গাছ জন্মাত। অনেকেই বাগান করে চাষ করতেন। জুন মাস থেকেই আম পাকতে শুরু করত। আম পাকার সময় প্রতিটি বাড়িতে উৎসবের মেজাজ তৈরি হতো। আম-মুড়ি দিয়েই সকালের টিফিন সারা হতো। এই আম খাওয়ানোর জন্য মেয়ে জামাইদের নিমন্ত্রণ করা হতো। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সমস্ত কিছুই বদলে গিয়েছে। এখন আর কারও বাড়িতে সূর্যাপুরি আমের গাছ কার্যত নেই বললেই চলে। বাজারেও তেমন পাওয়া যায় না। চাষের পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। বাড়ির জমির ভাগ বাটোয়ারা হওয়ায় অনেক গাছ কাটা পড়েছে। পাশাপাশি শহর এলাকায় যেসমস্ত আম গাছ ছিল তা এখন নেই। এসবের কারণে সূর্যাপুরি আম আর নেই বললেই চলে। ইসলামপুরের লেখক নিশিকান্ত সিনহা বলেন, আটের দশকের পর থেকেই সূর্যাপুরি আম কমতে শুরু করেছে। গোয়ালপোখরে আমাদের পরিবারের সূর্যাপুরি আমের বাগান ছিল। কিন্তু সেই বাগানটি আমরা বিক্রি করে দিয়েছি। সেই আমের স্বাদ কখনই ভোলার নয়। এখনও বাজারে সূর্যাপুরি আমের খোঁজ করি কিন্তু পাওয়া যায় না। প্রশাসেনর উচিত এই আম চাষের জন্য চাষিদের উৎসাহ দেওয়া। ইসলামপুর মহকুমা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যাপুরি আমের চাষ হয়। চাষিরা বাগান করতে চাইলে সরকারি বিভিন্ন স্কিম আছে। চাষিদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হয়।