শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে দুই নাতিনাতনিকে নিয়ে নিজেদের বাড়ির সদ্য নির্মিত প্রাচীরের পাশে বসে ছিলেন খাসকোলের বাসিন্দা জৌসান বিবি (৫০)। আচমকা প্রবল ঝড়ে ওই প্রাচীর ভেঙে চাপা পড়েন তিনজনই। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনজনকেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দু’টি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিল্কি পুলিস ফাঁড়ির অফিসার ইন চার্জ মণিরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, নতুনটলা গ্রামের বাসিন্দা এক কিশোর ঝড়বৃষ্টির সময় বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত কিশোরের নাম হাসিবুল শেখ (১৮)।
পুরাতন মালদহ ও পার্শ্ববর্তী শহর ইংলিশবাজার, রতুয়া, গাজোল হবিবপুরের একাংশের উপর দিয়েও ঝড় বয়ে গিয়েছে। এতে ফের আম চাষে ব্যাপক ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশ কিছু কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ইংলিশবাজারের মালঞ্চপল্লি এলাকায় বেশ কয়েকটি কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন অংশে একাধিক বড় গাছ উপড়ে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এদিন প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। পরে বৃষ্টি থেমে গেলে বিকেল পাঁচটার পর আবার রোদও ওঠে। এদিনের ঝড়ে একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে। ঝড়ের পর থেকে ঘনঘন লোডশেডিং শুরু হয়। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে রিপোর্ট না পেলে এব্যাপারে বিশদে বলতে পারছেন না সরকারি আধিকারিকরা। মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জল সাহা বলেন, আধ ঘণ্টার ঝড়-বৃষ্টিতে ফের আম চাষে ক্ষতি হয়ে গেল।