ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর এলাকায় মাইকিং করে ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগামী শুক্রবার থেকে হাট বন্ধ থাকবে। কোনওভাবেই একস্থানে জমায়েত করা যাবে না। নইলে সরকারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, আমরা বাজার এলাকায় এ দিন মাইকিং করেছি। নির্দিষ্ট করে ব্যবসায়ীদের বলে দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার যেহেতু হাট বসে গিয়েছে সেকারণে একটি দোকানে যেন তিন-চারজনের বেশি ক্রেতা ভিড় না জমান। শুক্রবার থেকে হাট বসবে না। তবে বাজারের সব্জির দোকান খোলা থাকবে।
ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সীমা রায় বলেন, সরকারি নির্দেশিকায় বলা আছে জমায়েত কোনওভাবেই করা যাবে না। হাটে যেহেতু প্রচুর মানুষের জমায়েত হয় সেকারণেই শুক্রবার থেকে হাট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ময়নাগুড়ি হাটের এক ব্যবসায়ী তাপস সরকার বলেন, সবাই এ দিন হাটে দোকান দেওয়ার কারণে আমিও পসরা সাজাই। তবে দুপুরের দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয় শুক্রবার থেকে হাট বসবে না। আমরা ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাটে দোকান খুলব না।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজারে সপ্তাহে দু’দিন হাট বসে। ময়নাগুড়ি ব্লকের এই হাট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় হাট বলেই পরিচিত। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে কোথাও জমায়েত করা যাবে না। হাট বন্ধ থাকবে। অথচ মঙ্গলবার সকাল হতেই একেবারে ভিন্ন ছবি দেখা যায় ময়নাগুড়ি নতুন বাজারে। ভোরের আলো ফুটতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা বাজারে এসে হাটে দোকান দিতে শুরু করেন। বেলা বাড়লে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফল, সব্জি, মাছ, মাংস সব দোকানেই ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ে। হাট সংলগ্ন চায়ের দোকানগুলিতেও একই ছবি দেখা যায়। হাটে আসা ক্রেতারা বাজার করে চায়ের দোকানে খোশ মেজাজে গল্প করতে বসে পড়েন। বেলা কিছুটা গড়ানোর পর হুঁশ ফেরে পুলিসের। ময়নাগুড়ি থানা থেকে পুলিসি এসে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এদিকে এ দিন হাটে আসা কোনও ব্যবসায়ীকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন কি করছে, কিভাবে হাট বসল প্রশাসনের এমন ভূমিকা নিয়ে সচেতন মানুষ প্রশ্ন তোলেন।