বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, গঙ্গারামপুর পুরসভা খসড়া বেরিয়েছে। আমাদের হাতে দুই সপ্তাহ সময় রয়েছে। কোনও অভিযোগ থাকলে দলের নেতৃত্বকে প্রশাসনের দ্বারস্থ হরে বলেছি। পুরভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। সবাইকে টিকিট দিতে হবে তার কোনও মানে নেই। টিকিট কে পাবেন তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবে।
এদিকে বালুরঘাটের বিদায়ী চেয়ারম্যান রাজেন শীলকে সম্প্রতি দলীয় কার্যক্রমে সেই ভাবে দেখতে পারছেন না শহরবাসীরা। রাজেনবাবুর দাবি, দল না ডাকায় তিনি দলের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকেন না। তবে তিনি নিজের ওয়ার্ডে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য লাগাতার কাজ করে চলেছেন। রাজেনবাবুর প্রসঙ্গ নিয়ে দলে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। রাজেনবাবু বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে আমি লড়াই করতে পারব না। আমাকে কার্যক্রমে না দেখার কোনও বিষয় নেই। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আমার নিজের ওয়ার্ডে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছি। দল আমাকে যেখানে ডাকে সেখানে আমি যাই। দল যদি মনে করে আমাকে টিকিট দিলে দলের লাভ হবে তবে টিকিট দেবে। এনিয়ে আমার কোনও কিছু বলার নেই। এদিকে অমলেন্দুবাবু বলেন, হয়ত খসড়া তৈরিতে কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করব। গতবার আমার ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়েছিল। তাই আমাকে অন্য ওয়ার্ড থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। দল যা ভালো বুঝবে তাই করবে।
শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর দুই পুরসভারও আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান রাজেন শীলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের জেতা ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। অমলবাবু ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেই ওয়ার্ডটি আবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই দুই নেতা এবার নিজেদের ওয়ার্ড থেকে লড়াই করতে পারছে না। এই অবস্থায় তাঁদের অন্য ওয়ার্ড থেকে টিকিট দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। দুই চেয়ারম্যান অন্য ওয়ার্ড থেকে টিকিট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাজেনবাবু জেলা রাজনীতিতে বিপ্লব ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। অর্পিতাদেবী জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকে তাঁকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে বলেও দলের একাংশের আলোচনায় শোনা যায়। তবে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ রাজেনবাবু এখন শঙ্করবাবুর কাছাকাছি এসেছেন। নিজের ওয়ার্ডে তাঁর সুনাম রয়েছে। কিন্তু তাঁর আসনটি ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষণ হয়ে যাওয়ায় তিনি প্যাঁচে পড়ে গিয়েছেন। একই অবস্থা হয়েছে অমলেন্দুবাবুর।