কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
প্রয়াত ক্রীড়া সংগঠক শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অফিস সম্পাদক ছিলেন। শহরের আশ্রমপাড়ায় তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির রোগে ভুগছিলেন। বুধবার বিকালে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর তাঁকে স্ট্রেচারে করে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় তিনি করিডরে পড়ে যান। ঘণ্টাখানেক পর তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের ভাই অশোক কুণ্ডু বলেন, দাদাকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে স্ট্রেচার দেওয়া হয়েছিল, সেটির একটি স্ট্যান্ড ছিল ভাঙা। ওই স্ট্রেচারে চাপিয়ে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার সময় দাদা করিডরে পড়ে যান।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদার বলেন, ওই রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল। কিডনির অসুখের পাশাপাশি তাঁর দেহের বিভিন্ন অঙ্গে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। তিনি স্ট্রেচার থেকে পড়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই স্ট্রেচারও ভাঙা ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে ওই রোগীর আত্মীয়দের কাছে ভাঙা স্ট্রেচারটি গেল, তা জানার চেষ্টা চলছে। তখন ঘটনাস্থলে কারা ছিলেন, ট্রলি বা স্ট্রেচার ঠেলার দায়িত্বে থাকা জেনারেল ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্টরা(জিডিএ) কোথায় ছিলেন, এসব জানার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজন পড়লে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ও অন্যান্য ওয়ার্ডে স্ট্রেচার ঠেলতে দেখা যায় রোগীর আত্মীয়দের। কিছু স্ট্রেচার তো দীর্ঘদিনের পুরোনো। সেগুলির চাকা যেন ঘুরছেই না।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এদিন স্ট্রেচার বুথ নিয়ে প্রচার চালায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি বিভাগের কাছেই রয়েছে ট্রলি ও স্ট্রেচার বুথ। এর বাইরে জরুরি বিভাগে এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডেও কিছু স্ট্রেচার রয়েছে। সেগুলি দেড় থেকে দুই বছরের পুরনো। পাঁচ-ছ’টি স্ট্রেচার বিকল। ইতিমধ্যে সেগুলি মেরামত করতে দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের স্টেচারের রঙ হলুদ ও মৃতদের বহন করার স্ট্রেচারের রঙ লাল। তবে, স্ট্রেচার ঠেলার জন্য কর্মীর সংখ্যা কম। হাসপাতালের সুপার বলেন, কর্মীর সংখ্যা কম থাকলেও প্রতিটি স্ট্রেচার সচল রয়েছে।
এদিকে, ওই ক্রীড়া সংগঠকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার দাবি তুলেছেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য। তিনি মৃতের বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এর আগে আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এবারের ঘটনার প্রতিবাদে জোরদার আন্দোলনে নামবো।