শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের ধাক্কায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর থেকে এই অঞ্চলে আছড়ে পড়া ঝড়গুলির মধ্যে উম-পুনই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করছে প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বড়গুণা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ভোলা ও পটুয়াখালি জেলায়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি)-এর আধিকারিক শাহ আলম। কলাপাড়া উপজেলায় একটি খালে নৌকা ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ওই নৌকায় আলমের সঙ্গেই ছিলেন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা। ৯ ঘণ্টা পর আলমের দেহ উদ্ধার হয়। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে উম-পুন। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাণহানির ঘটনা কমাতে উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তোলা হয় বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। নামানো হয় সেনা। ঝড় আছড়ে পড়ার আগে তিনি জরুরি বৈঠক করেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কাউন্সিলের সঙ্গে। যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে এসে দাঁড়ায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক বলেন, উম-পুনের জেরে বাংলাদেশে ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগেভাগেই মাঠে নামে রেড ক্রিসেন্ট। সরকারি সূত্রে খবর, ঝড় আছড়ে পড়ার আগেই পটুয়াখালিতে জলোচ্ছ্বাস হয়। ৭৪০টি বাড়ি ভেসে যায়।