কাঠমাণ্ডু: স্কুল জীবনের কথা কি কেউ ভুলতে পারে? ফেলা আসা শৈশবের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে স্কুলের স্মৃতি। বিশেষ করে, দোষ করলে শাস্তি পাওয়ার ঘটনাগুলো তো সবার মনেই চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও এর ব্যতিক্রম নন। প্রতিবেশী দেশ নেপালে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণ করলেন তিনি। জানালেন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়ের একটি ঘটনা। স্কুলে সেদিন শিক্ষকের হাতে মার খেতে হয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনার কথা তাঁর মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে গিয়েছে। ছোট্ট একটা ভুলের জন্য তাঁকে মার খেতে হয়েছিল। শিক্ষক তাঁর হাতে বেত দিয়ে মেরেছিলেন। হাতে মারলে বাবা-মা জানতে পারবেন। এজন্য শিক্ষকের কাছে তাঁর পিঠে মারার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অনুরোধে কাজ হয়নি। এরপর প্রায় ১০ দিন হাতের দাগ বাড়িতে প্রাণপনে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শনিবার কাঠমাণ্ডুতে কিশোর-কিশোরীদের বিচার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তৃতা দিতে প্রধান বিচারপতি ওই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। নেপালের সুপ্রিম কোর্ট ওই জুভেনাইল জাস্টিস বিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তির আচরণের প্রভাব শিশুদের মনে সারা জীবন থেকে যায়। তাঁর কথায়, ‘সেদিনের ক্লাসের সেই ঘটনা আমার মনে গভীর ছাপ রেখে গিয়েছে। যখন আমি কাজ করি, তখনও আমার সেই কথা মনে পড়ে। ’ কেন তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছিল? প্রধান বিচারপতি বলেন, ক্লাসে হাতের কাজের জন্য নির্দিষ্ট আকারের সূচ সেদিন তিনি নিয়ে যাননি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ সমাজে শিশুকেই ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে লালনপালন করা হয়। পরিবারের হৃৎস্পন্দনই হল শিশু। ভারত ও নেপাল, উভয় দেশের সংস্কৃতিই শিশুদের নৈতিক শিক্ষা,প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং শিশুদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন।’ পাশাপাশি শিশুদের অধিকার সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে উভয় দেশই আন্তর্জাতিক চুক্তি করেছে বলেও প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছেন।