পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশে বলেছেন, এখন দেশজুড়ে প্রচারেই জোর দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তাঁকে কোনও উপনির্বাচনে জিতিয়ে সাংসদ করা হতেই পারে। রাহুল গান্ধী অনেক অঙ্ক কষেই দাবার চাল দিয়েছেন। তাঁর চাল, আপাতত রায়বেরিলি থেকে দাঁড়ালেও পরে ওয়েনাড় জিতলে সেখান থেকেই তিনি সাংসদ থাকবেন। আর তাঁর ছেড়ে দেওয়া রায়বেরিলি থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করে সংসদীয় রাজনীতিতে অভিষেক হবে প্রিয়াঙ্কার। প্রিয়াঙ্কার ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে আরও বেশ কিছু ব্যাখ্যা সামনে আসছে। একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা প্রার্থী হলে সেই আসনে তাঁকে বাড়তি সময় দিতে হতো। একটি আসনের গণ্ডিতে তিনি আটকে থাকতে না চেয়ে দেশজুড়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চেয়েছেন। দলের হয়ে যত বেশি সম্ভব আসনে জয় ছিনিয়ে আনাই তাঁর লক্ষ্য। বিশেষ করে সোনিয়া গান্ধী এবার সরাসরি ভোটপ্রচার থেকে দূরে থাকছেন বলেই বাড়তি দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে চেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
রাজনৈতিক মহলের অন্যটি অংশের দাবি, শুধুমাত্র মাত্রাতিরিক্ত আতঙ্কের কারণে কংগ্রেস প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করার পদক্ষেপ থেকে পিছিয়ে এল। এই অংশের ব্যাখ্যা, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যদি রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দু’জনকেই হারিয়ে দেয়, তাহলে দেশজুড়ে কংগ্রেস সমর্থক ও কর্মীদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে যাবে। সেই ভয়েই হাত শিবির ভোটের লড়াই থেকে এবারও প্রিয়াঙ্কাকে দূরেই রাখল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশের ধারণা, ভবিষ্যৎ রাজনীতির অঙ্কেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এবারও রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে দিল কংগ্রেস। হাত শিবির এবারও প্রত্যাশিত ফল করতে ব্যর্থ হলে প্রিয়াঙ্কার হাতে তুলে দেওয়া হবে দলের নেতৃত্বের ভার। আবার অন্য একটি অংশের মতে, পার্টিকর্মীদের মধ্যে প্রিয়াঙ্কার জনপ্রিয়তায় ভীত স্বয়ং রাহুল গান্ধী। তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের আশঙ্কা, প্রিয়াঙ্কার ছায়ায় ঢাকা পড়তে পারেন রাহুল। সেই কারণেই রাহুল ঘনিষ্ঠ ওই অংশ প্রিয়াঙ্কার ভোটে লড়ার বিরুদ্ধে মত দিয়ে চলেছেন দলে।