ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
রায়বেরিলি থেকে এবার আর ভোটে না দাঁড়িয়ে রাজ্যসভায় সদস্য হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। গতবার আমেথিতে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল। দলীয় সূত্রে খবর,সেই কারণে এবার আর আমেথিতে দাঁড়াতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন না তিনি। যদিও রাহুলের বক্তব্য, ‘দলের সৈনিক হিসেবে যা নির্দেশ পাব, মেনে নেব।’ মূলত সেই কারণেই আমেথি, রায়বেরিলিতে কংগ্রেসের কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েন বজায় রয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেই।
আগামী ২০ মে উত্তরপ্রদেশের এই দুই কেন্দ্রে ভোট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ শুক্রবার, ৩ মে। ফলে দু’-তিনদিনের মধ্যেই খাড়্গেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কেরলের ওয়েনাড়ে রাহুল গান্ধীর ভোট হয়ে গিয়েছে। ফলে আমেথি থেকে তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। একইভাবে রায়বেরিলিতে সোনিয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হবেন কন্যা প্রিয়াঙ্কা। কারণ, মাঝে কয়েকবার বিপত্তি হলেও উত্তরপ্রদেশের এই দুই কেন্দ্রকংগ্রেসের ঘাঁটি বলেই পরিচিত। বিশেষত, গান্ধী পরিবারের। ১৯৭৭, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ সাল বাদ দিলে ১৯৫২ সাল থেকে লাগাতার রায়রেরিলিতেজিতেছে কংগ্রেস। এখান থেকে দাঁড়াতেন ইন্দিরা গান্ধীও। ফিরোজ গান্ধী, অরুণ নেহরু, সোনিয়া গান্ধীও সাংসদ হয়েছেন রায়বেরিলি থেকেই। একই ছবি আমেথিতেও। ১৯৬৭ সাল থেকেএখনও পর্যন্ত মাত্র তিনবার হেরেছে কংগ্রেস—১৯৭৭, ১৯৯৮ এবং ২০১৯ সালে। একসময় এই আসন থেকেই জিততেন রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী। সেই কারণে এবারও আমেথি ও রায়বেরিলিতে গান্ধী পরিবারের দুই ভাইবোনকেই চাইছে কংগ্রেসের সিংহভাগ। ফলে তাঁদের নাম ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।