নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
কিন্তু সরাসরি পেট্রল ও ডিজেলের উপর রাজ্যের করবাবদ রাজ্য সরকারগুলি যে আয় করে, সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ পেট্রপণ্যের উপর কর আরোপের অধিকার রাজ্যের আর থাকবে না। সেটি জিএসটি কাউন্সিলই ঠিক করবে। এই নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের টানাপোড়েন দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত। আবার নতুন করে এই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবার পেট্রপণ্যকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে তৎপর। সোমবারই সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, পেট্রপণ্যকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রস্তাব। এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে ইতিবাচক প্রভাবই পড়বে। গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই নিয়ে সরকার ভাবনাচিন্তা করবে বলে জানিয়েছিলেন। এবার সরকারের অন্দরেও প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সেই প্রস্তাবকে অনুমোদিত করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে।
কিন্তু ২৭ মার্চ থেকেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। তাই তার আগেই যাতে পাঁচ রাজ্যবাসীকে কিছুটা ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যায় সেই সিদ্ধান্ত আগেই নিতে চাইছে কেন্দ্র। পেট্রপণ্যের উপর ২০২০ সালে দফায় দফায় শুল্ক চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি পেট্রলের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা ছুঁতে চলেছে। অন্যদিকে রান্নার গ্যাসের দামও রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি আতঙ্কিত। কারণ দলের এমপি ও বিধায়করাই বারংবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাই অর্থমন্ত্রক স্থির করেছে কেন্দ্রীয় কর কামানো নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে তেল উৎপাদক সংস্থাগুলির।