শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
কোনও সন্দেহ নেই, এইএমসের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত দুঃসাহসিক। তবে সাফল্য পেলে কোভিডের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে যেমন ধারণা তৈরি হবে, তেমনই উদ্ভূত সামাজিক সঙ্কটের মোকাবিলা করাও সহজ হবে। মৃতদেহে মারণ ভাইরাস কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, তা জানা সম্ভব হলে সৎকারকাজে ধর্মভিত্তিক প্রথাকে মান্যতা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সৎকারে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদেরও সুরক্ষাবলয় আরও মজবুত করা যেতে পারে। কিন্তু ময়নাতদন্তের গোটা প্রক্রিয়াটাই অত্যন্ত জটিল ও সতর্কতামূলক। কোভিডে মৃত ব্যক্তির দেহ কাটাছেঁড়া করা আর পাঁচটা দেহের মতো নয়। সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে ভীষণভাবেই। ফলে ছুরি-কাঁচি ধরার আগে সংক্রমণরোধী যাবতীয় কঠিন বর্ম পরা আবশ্যক। সেই সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে আইসিএমআরের গাইডলাইনে। এইমস সূত্রে খবর, সেই গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে দেহের ময়নাতদন্ত করবে বিশেষ প্রশিক্ষিত দল। এইমসের চিকিৎসক সুধীর গুপ্ত জানিয়েছেন, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হলে মারণ ভাইরাসটির সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানা সম্ভব হবে। আর সেইসব তথ্য নিখুঁত অনুসন্ধান করে কোভিডকে জব্দ করার অস্ত্রও হাতে আসতে পারে। এইমসের প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি সহ একাধিক বিভাগকে এই গবেষণার কাজে লাগানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সুধীরবাবু বলেছেন, ‘শুধু শ্বাসযন্ত্রই নয়, মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরও প্রভাব বিস্তার করে কোভিড। কিন্তু তা কীভাবে করে থাকে, তা জানতে দেহের ময়নাতদন্ত ছাড়া উপায় নেই। আমরা সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেহ কাটাছেঁড়া করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে সংক্রমণের বিন্দুমাত্র ঝুঁকি না থাকে।’ আইসিএমআরও তাদের গাইডলাইনে বলেছে, সুরক্ষা সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পরই দেহ ব্যবচ্ছেদকারী ছুরি-কাঁচি ধরতে পারেন। তার আগে অবশ্য মৃত ব্যক্তির আইনি উত্তারাধিকারীর সম্মতি নেওয়া আবশ্যিক করেছে আইসিএমআর। এইমস সেই নির্দেশিকা থেকে একচুলও নড়বে না বলে জানিয়েছেন সুধীর গুপ্ত।