বাড়তি অর্থ পাওয়ার যোগ রয়েছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
রেল জানিয়েছে, সারা দেশে তাদের মোট ১২৫টি হাসপাতাল রয়েছে। যার মধ্যে ৭০টিরও বেশি হাসপাতালকে সম্পূর্ণ করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। যার ফলে তৈরি হবে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার আইসোলেশন বেড। শুধু তাই নয়। হাসপাতালগুলিকে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা ফ্লোরও খুলে দেওয়া হবে। এবং এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রয়োজনে সাময়িকভাবে রেলের হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরও পুনর্নিয়োগ করতে বলেছে রেলমন্ত্রক। দু’দিন আগেই রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেবলমাত্র রেলের কর্মীরাই নন, বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে রেলের হাসপাতালগুলিতে পরিচয়পত্র দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন যেকোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীই। এর কয়েকদিনের মধ্যেই রেলের অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রের খবর, প্রয়োজনে করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত এই রেল হাসপাতালের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে।
অন্যদিকে, আজ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে যে ২০ হাজার রেল কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করা হচ্ছে, তাতে প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার হসপিটাল বেডের চাহিদা মিটবে। তবে প্রথম পর্যায়ে কোয়ারেন্টাইন শিবিরের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে পাঁচ হাজার রেলওয়ে কোচকে। যেখানে ৮০ হাজার আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ একেকটি কোচে ১৬টি করে আইসোলেশন বেড তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নন-এসি স্লিপার কোচগুলিকেই আপাতত কোয়ারেন্টাইন শিবিরে পরিণত করার ভাবা হয়েছে। জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে রেল কোচ-কাম-আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলিতে দুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও ব্যবস্থা থাকবে। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবথেকে বেশি রেলওয়ে কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করছে দক্ষিণ-মধ্য রেল। তারা মোট ৪৮৬টি কোচকে রূপান্তরিত করছে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মধ্য রেল (৪৮২) এবং দক্ষিণ রেল (৪৭৩)। পূর্ব রেল ৩৩৮টি এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল ৩২৯টি কোচকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৩১৫।