ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
আচমকা লকডাউন মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তাই ‘মন কি বাতে’ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েই পার পাওয়ার চেষ্টা না করে করোনা সংক্রমণের ভয় উপেক্ষা করেও অসহায় মানুষগুলো যেভাবে ভিন রাজ্য থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চাইছে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করার দাবি করল দেশের প্রধান বিরোধী দল। বিদেশ থেকে বিশেষ বিমানে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো গেলে দেশের অভ্যন্তরে থাকা নাগরিকদের জন্যই বা কেন আগেভাগে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা হল না? তোলা হল প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রীর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাতে’ লকডাউনের জেরে আচমকা অসুবিধের মধ্যে পড়া মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এভাবে ক্ষমা চেয়ে পার পাবেন না বলেই পাল্টা তোপ দেগেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি। এআইসিসির উদ্যোগে অভিনব পদ্ধতিতে অনলাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রবিবার তিনি সরকারের উদ্দেশে এক গুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন। বলেন, করোনার ভয়াবহ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজন লকডাউনেরও। এ ব্যাপারে কংগ্রেস সরকারের পাশেই আছে। কিন্তু হাতে সময় থাকা সত্ত্বেও কেন এ ব্যাপারে অগ্রিম কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি? লকডাউন পর্বে দিনমজুর, শ্রমিকদের কী হবে, কীভাবে খাদ্য সংস্থান হবে, কীভাবে এই পর্বে মানুষ আতঙ্ক, আশঙ্কাহীন থাকবে, তার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?
সিংভির সওয়াল, ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার ২২ তারিখের জনতা কার্ফু ঘোষণা করেন। তারপর আচমকাই ২৪ মার্চ জানিয়ে দেন, ২৫ তারিখ থেকে ২১ দিনের লকডাউন। হাতে সময় পেয়েও কেন মানুষকে আগেভাগেই জানানো হল না? পৃথিবীর অন্যান্য দেশও করোনা রুখতে লকডাউন করেছে। কিন্তু আচমকা নয়, আগেভাগে জানিয়ে করেছে। এখানেও কি সস্তার চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি? কটাক্ষ চড়ান সিংভি। বলেন, যেভাবে দিনমজুর, অসহায় শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন, সবাই নিজেদের বাড়ি ফিরতে চাইছেন, তাতে সরকারের ব্যর্থতা আর দিশাহীন অবস্থাই স্পষ্ট হচ্ছে। রাজ্যগুলি না পারলে প্রয়োজনে সেনা নামিয়ে অসহায় মানুষগুলোর জন্য অস্থায়ী থাকা খাওয়া, ওষুধ, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক বলেই মন্তব্য করেছেন সিংভি। অন্যদিকে, সরকারি টেলি পরিষেবা সংস্থা বিএসএনএল এবং বেসরকারি মোবাইল সংস্থার প্রধানদের চিঠি লিখে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগামী এক মাস ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বজায় রাখার আবেদন করেছেন।