কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
পুলওয়ামার ঘটনায় মোদির কোনও হেলদোল নেই বলেই প্রতিষ্ঠা করতে চায় কংগ্রেস। সেই মতো গতকাল দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেও আজ ফের নতুন করে মণীশ তিওয়ারিকে দিয়ে বলানোই নয়, খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মাঠে নামলেন। ট্যুইট করে গত ১৪ তারিখ হামলার কথা জেনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করবেট সাফারিতে ব্যস্ত ছিলেন বলে আক্রমণ করেছেন রাহুল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। শাসকদল পাল্টা ট্যুইট করে রাহুল গান্ধীর দেওয়া ওই খবরকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করেছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, পুলওয়ামার ঘটনার তিন ঘণ্টা পরেও ‘প্রাইম টাইম মিনিস্টার’ ফিল্মের শ্যুটিং করছিলেন। আক্রমণ চড়াতে রাহুল বলেছেন, দেশ এবং শহীদের পরিবার যেখানে মর্মাহত, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নদীতে ফটোশ্যুট করছিলেন। রাহুল তার ট্যুইটের এই বক্তব্যের সঙ্গে চারটি ছবি প্রমাণ হিসেবে যুক্ত করেছেন। যদিও বিজেপি বিষয়টিকে মিথ্যে বলে দাবি করেছে। তারাও ট্যুইটারে পাল্টা আক্রমণ করে বলেছে, রাহুলজি আপনার ফেক নিউজে দেশ ক্লান্ত। সকাল থেকে এ ধরনের ছবি পোস্ট করে নির্লজ্জভাবে দেশকে বিভ্রান্ত করবেন না। রাহুলকে কোনঠাসা করতে বিজেপি আরও বলেছে, হয়ত আপনি আগে থেকেই হামলার কথা জানতেন। গোটা দেশ জেনেছে সেইদিন সন্ধেয়। তাই এ ধরনের চমক দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। অন্তত যেখানে জওয়ানদের বিষয় জড়িত।
যদিও এরপরেও থামেনি কংগ্রেস। দলের সদর দপ্তরে মণীশ তিওয়ারি সাংবাদিক সম্মেলনে প্র্শ্ন তুলেছেন, ওইদিন দুপুর তিনটে দশ মিনিটে পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটি জানার পরেও বিকাল পাঁচটা দশে প্রধানমন্ত্রী একটি সভায় মোবাইলে বক্তব্য রেখেছেন। অথচ সেখানে পুলওয়ামার কোনও উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। মনীশ তিওয়ারি বলেন, ওই সভার আগে করবেট জাতীয় উদ্যানে শ্যুটিং করেছেন। সন্ত্রাসবাদী হামলায় দেশের জওয়ান প্রাণ হারানোর কথা জেনেও কোনও সংবেদনশীল ব্যক্তি এ কাজ করতে পারেন? তাও আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পুলওয়ামার ব্যর্থতাকে উগ্র দেশপ্রেম দেখিয়ে ঢাকা দিতে চাইছেন মোদি।