পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, এই লোকসভা ভোটে মোদি এখনও পর্যন্ত মোট ৯টি জনসভা করেছেন। শুক্রবারের কর্মসূচি ধরলে এরাজ্যে তাঁর এক ডজন সভা সারা হয়ে যাবে। ৭ মে তৃতীয় দফার ভোট। তার আগেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ১২টি জনসভা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের দাবি, ৭ মে’র আগে ফের একবার পশ্চিমবঙ্গে আসার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আজকের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বহস্পতিবার রাতেই কলকাতায় পা রেখেছেন তিনি। গতকাল রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। রাজভবনে রাত্রিবাস করে আজ দলীয় কর্মসূচিতে দক্ষিণবঙ্গের তিন কোনায় ঢুঁ মারবেন তিনি।
নদীয়া, বর্ধমান ও বীরভূমে তিনটি জনসভায় আজ ভাষণ দেবেন মোদি। তাঁর প্রথম জনসভা তেহট্টে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তেহট্ট ও সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন। কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের অন্তর্গত ওই বিধানসভা কেন্দ্রে ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের পক্ষে জনমত গঠনে উদ্যোগী হবেন মোদি। প্রসঙ্গত, দু’দিন আগে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভার সূচি ছিল। কিন্তু শেষমেশ তা বাতিল হয়। ভোট ঘোষণার আগে, মার্চে কৃষ্ণনগরে জনসভা করেন মোদি। তাই এবার তেহট্টকে বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সেখান থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন বর্ধমান দক্ষিণে। জায়গাটি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত। সেখানে প্রার্থী দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপবাবুর প্রতি কঠোর মনোভাব নেয়। এই প্রাক্তন স্বয়ংসেবককের রাজ্য সভাপতি এবং সর্বভারতীয় পদ কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী, মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর জয়ের চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এবার দেখার আজকের সভায় দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ভিন্ন কোনও বার্তা দেন কি না।
এদিন মোদির শেষ জনসভাটি বোলপুরে। সেখানে দলের প্রার্থী পিয়া সাহা। বিজেপির তৃণমূল স্তরের এই কর্মীকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা রয়েছে। গৃহবধূ পিয়ার সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর আজকের রাজনৈতিক কর্মসূচি রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কেষ্টহীন বীরভূমে লোকসভা ভোটে বিজেপি আদৌ কোনও ডিভিডেন্ড পায় কি না, তা দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন সকলে।