পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টকে রাজ্য তথা এসএসসি জানিয়ে এসেছে, আদালত চাইলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথক করে সেই তালিকা জমা দিতে তারা তৈরি। তবে, কোন পদ্ধতিতে তা করা হবে, সে ব্যাপারে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সরকার বা এসএসসি। এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, আদালত যে পদ্ধতিতে এগনোর নির্দেশ দেবে, পদক্ষেপ করা হবে সেভাবেই। আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ স্কুলশিক্ষা দপ্তর বা এসএসসি করবে না।
এদিকে, সিবিআইয়ের উদ্ধার করা তালিকা অনুযায়ী যাঁদের ওএমআর শিটের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরের গরমিল রয়েছে, তাঁদের অনেকেই সেটার প্রতিবাদ করছেন। দেখা যাচ্ছে, ওএমআর গরমিলে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষকের প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। এর ফলে এমন শিক্ষকরা এসএসসির তরফে কোনও প্রযুক্তিগত বা ক্লারিকাল ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করছেন। পশ্চিম বর্ধমানের এক শিক্ষিকা বলেন, নম্বর বাড়াতে কাউকেই যে টাকা দিইনি, তা আমি জানি। তবু আমার নম্বরের হেরফের হয়েছে মানে, কোথাও ভুল রয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হোক।
বেহালার এক শিক্ষিকা জানতেনই না তাঁর নাম সিবিআইয়ের নথিতে অযোগ্যদের তালিকায় রয়েছে। স্কুলে আগাগোড়া প্রথম হয়েছেন তিনি। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরেও পেয়েছেন ফার্স্ট ক্লাস। ওই শিক্ষিকা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারেন, তিনিও অযোগ্যদের তালিকায়! ফলে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আগের পরীক্ষার সময়েও স্ক্রুটিনির ভুলে তিনি কম নম্বর পেয়েছিলেন। ফলে কাউন্সেলিংয়ে বহু দূরের স্কুল পাওয়ায় তিনি কাজে যোগ দেননি। এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।
অভিজ্ঞমহলের বক্তব্য, এই কারণেই এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের ফারাক সেভাবে করতে পারছে না। এসএসসি’র এক কর্তা সম্প্রতি জানান, এমন বহু প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের নম্বর বাড়িয়ে দেখানো। তবে, প্রকৃত নম্বরের হিসেব হলেও তাঁরা চাকরি পান। এঁদের ‘অযোগ্য’ বলা যাবে কীভাবে! এই ধরনের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই ভুলের তত্ত্বটা জোরালো হচ্ছে।