গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এখন পর্যন্ত ঘোষিত পদ্ধতি অনুযায়ী যে কোনও একটি সেমেস্টার থেকেই দু’টি সেমেস্টারের পাশ নম্বর তুলে ফেলা যাবে। এই ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি ওঠে শিক্ষক মহলে। প্রথম সেমেস্টারেই পাশ নম্বর উঠে গেলে এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীর কাছে দ্বিতীয় সেমেস্টারের গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাছাড়া, প্রথম সেমেস্টার এমসিকিউ ভিত্তিক। ওএমআর শিটে পরীক্ষা হবে। মূল্যায়নের এই ব্যবস্থা থাকলে প্রথম সেমেস্টারে ব্যাপক ‘হল কালেকশন’-এর আশঙ্কা করছিলেন শিক্ষকরা। সংসদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, বিভিন্ন মহলের আপত্তিতে আগের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করছে তারা। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, দু’টি সেমেস্টারককে পৃথক হিসেবে ধরার পক্ষেই মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ, বর্তমান পদ্ধতিতে অনুযায়ী এটি সেমেস্টার সিস্টেম নয়। একটি পরীক্ষাকেই দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আদর্শ সেমেস্টার পদ্ধতিতে প্রতি ক্ষেত্রেই পাশ করতে হয়। উচ্চশিক্ষায় যে সেমেস্টার পদ্ধতি রয়েছে, তাতেও একই নিয়ম। বরং পাশমার্ক না উঠলে বাড়তি একটি সুযোগ দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের। তবে, স্কুলের ক্ষেত্রে তা হবে কি না জানা যায়নি।
সংসদ অবশ্য এখন প্রকাশ্যে বলছে, আগে ঘোষিত পদ্ধতি যে পরিবর্তন হবেই, এমন নিশ্চয়তা নেই। যদিও সিদ্ধান্ত যাই হোক, সংসদ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তা জানিয়ে দেবে বলে খবর। শিক্ষকরা অবশ্য আশাবাদী, আগে ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে সংসদ। কারণ, মৌখিক ঘোষণা করলেও অ্যাসেসমেন্ট ও ইভ্যালুয়েশন পদ্ধতি নিয়ে এখনও তারা বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। ফলে সেক্ষেত্রে পরিবর্তনের সম্ভাবনাই বেশি বলে তাঁরা মনে করছেন।