গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মেছো বিড়ালের উপর গবেষণা করতে জঙ্গলের একটি অংশে ৫০টি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছে জেডএসআই। এই প্রক্রিয়ার জন্য তারা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সাহায্য নেবেন বলে জানিয়েছেন যোগেশবাবু। মূলত জঙ্গলে এই প্রাণীদের জনসংখ্যা, কোন কোন প্রজাতি পাওয়া যাচ্ছে এবং এই ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের পরিবেশ তাদের উপর কোনও প্রভাব ফেলেছে কিনা সেসব পরীক্ষা করা হবে। অন্যদিকে, ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে বিভিন্ন খাঁড়ি ও নদীতে যেসব অমেরুদণ্ডহীন প্রাণী পাওয়া যায় তাদের মধ্যেও কোনও পরিবর্তন এসেছে কিনা বা এই নোনা মাটি বা জলে থাকার দরুন কতটা পাল্টেছে এইসব প্রাণীর অভ্যাস, বাসস্থান ইত্যাদি নিয়েও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইছেন জেডএসআইয়ের গবেষকরা। তাঁরা বলেন, সুন্দরবন প্রচন্ডভাবে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখানকার জীব বাস্তুতন্ত্রের নানা ধরনের পরিবর্তন এসে থাকতে পারে। তাছাড়া এখানকার নদী ও খাঁড়ির জলে লবণাক্ত ভাব বাড়ছে না কমছে সে সব জানা প্রয়োজন রয়েছে। এখানকার যে সমস্ত প্রাণী রয়েছে, তারা কতটা এই পরিস্থিতির মধ্যে মানিয়ে নিতে পেরেছে বা শারীরিক ভাবে তাদের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে সেসব গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্রের খবর, এই কাজ করার জন্য বেশ কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল এই আঞ্চলিক অফিস। যেহেতু এই কাজের জন্য বড় অর্থ প্রয়োজন রয়েছে তাই সেখান থেকে যতক্ষণ না অনুমোদন আসছে গবেষকরা সেই কাজ শুরু করতে পারছেন না। যোগেশবাবুর কথায়, এই গবেষণার প্রয়োজনীয়তা কতটা সেটা পদস্থ কর্তারা বুঝেছেন এবং তাঁরা সবকিছু বিচার করে খুব শীঘ্রই অনুমোদন দেবেন।