গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তথ্য বলছে, লোকসভা বা বিধানসভা ভোট আসলেই চলচ্চিত্র জগতের তারকাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ঘেঁষতে দেখা যায়। আবার রাজনৈতিক দলগুলিও বিভিন্ন অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফলে দু'পক্ষের সৌজন্যেই প্রার্থী তালিকায় নাম চলে আসে অনেকেরই। এর আগে লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে দেখা গিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস সিপিএম সব দলেরই প্রার্থী তালিকায় একাধিক তারকাদের নাম ছিল। লোকসভা নির্বাচনে শতাব্দী রায় গত তিনবার ধরে জিতে আসছেন। বীরভূম লোকসভা আসনে ২০০৯, '১৪, '১৯ আসনে জিতেছেন শতাব্দী। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। আবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন দীপক অধিকারী (দেব)। এবারও তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রার্থী তালিকায় নাম আছে অভিনেত্রী জুন মালিয়ার। তিনি লড়ছেন মেদিনীপুর লোকসভা আসন থেকে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়কও হয়েছেন জুন। এছাড়াও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন হুগলি আসন থেকে। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ লড়ছেন যাদবপুর কেন্দ্রে।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী তালিকাতেও তারকা সমাবেশ রয়েছে। হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়, ঘাটলে হিরণ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির প্রার্থী।
আবার গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, বীরবাহা হাঁসদা প্রমুখ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থী ছিলেন দেবদূত ঘোষ। বিজেপির তরফেও সেবার প্রার্থী হয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার প্রমুখ। তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছিলেন বিধানসভা ভোটে।
কিন্তু এত তারকা সমাবেশের মধ্যে লক্ষ্যণীয় বিধানসভা ও লোকসভার তুলনায় পুরসভা ও পঞ্চায়েত তারকা সমাবেশ নেই বললেই চলে। কামারহাটির পুরভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এর বাইরে আর কোনও নাম পাওয়া দুষ্কর। আর পঞ্চায়েত ভোটে তারকা সমাবেশ কার্যত নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে গ্ল্যামার ও তাৎপর্য অনেক বেশি। ফলে সেখানে অনেক ঝোঁকেন। কিন্তু পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোট প্রার্থী হয়ে আলোর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা যাবে না বলে অনেকের ধারনা। তাছাড়া প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বিচরণ ও রাজ্য-দিল্লি স্তরে যোগাযোগ রাখতে পারেন সাংসদ ও বিধায়করা। ফলে গ্রামে ঘুরে বা পুর এলাকার অলি-গলিতে ঢুকে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকেরই অনীহা।