সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
এদিকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুব্রত সংক্রান্ত এহেন একের পর এক দাবিকে কেন্দ্র করে তুমুল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে। তৃণমূলের বক্তব্য, যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা প্রমাণ করার দায় নিচ্ছে না ইডি-সিবিআই। আসলে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। এই বিষয়টি সামনে রেখেই শনিবার রাজ্য জুড়ে ইডি-সিবিআই বিরোধী মিছিল ও সভার আয়োজন করে শাসক শিবির। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়ায় তারা। বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল ছিল চোখে পড়ার মতো। বোলপুরের মিছিলে অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। এছাড়াও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য অরূপ রায়, পুলক রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে পথে নামেন। দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির লক্ষ্য হল আমাদের দলের নেতাদের সামাজিক সম্মান নষ্ট করা। রোজ নানা দাবি করা হলেও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তা স্পষ্ট নয়। তাঁর মতে, এটা একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র!
এই আবর্তের মধ্যেই গোরু পাচার কারবারের বিপুল টাকা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তার খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই ও ইডি। তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা জানতে পেরেছেন, বিগত চার-পাঁচ বছরে বীরভূম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে বেশ কিছু ঝাঁ চকচকে বিএড কলেজ তৈরি হয়েছে। এই কলেজগুলি গড়ে তোলার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান কোথা থেকে হয়েছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার মধ্যে আটটি কলেজ নির্মাণের টাকার ‘সোর্স’ গোলমেলে ছিল বলে তদন্তকারী অফিসাররা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। সেগুলির যাবতীয় নথি জোগাড় করা হয়। যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, কলেজগুলি খোলার আগে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকটি কোম্পানি ঘুরে সেই ট্রাস্টে টাকা ঢুকেছে। একটি কোম্পানিতে আবার সায়গলের নামও রয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। তদন্তকারীদের মতে, এই টাকা আসলে গোরু পাচারের লভ্যাংশ। বিএড কলেজ তৈরিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়ে সায়গলকে একপ্রস্থ জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, অনুব্রতর ওই দেহরক্ষী জেরায় জানিয়েছেন, গোরু পাচারের টাকা তাঁর কাছেই থাকত।
ইডির তদন্তে উঠে আসছে, এছাড়াও বীরভূম জেলা থেকে টেট-এ বসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল। অভিযোগ, তাতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠরাই ঠাঁই পেয়েছিলেন। বীরভূম জেলা থেকে পাঠানো ওই তালিকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। স্কুলে চাকরি দেওয়ার জন্য এই জেলা থেকে ঠিক কত টাকা তোলা হয়েছিল, সেই হিসেব কষছেন তদন্তকারীরা।