নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত তিন মাসে কলকাতার তিন মেডিক্যাল কলেজের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একের পর এক আত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এন আর এস এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দুই কৃতী পড়ুয়া এইভাবে মারা গিয়েছেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক কৃতী পড়ুয়া কিছুটা বরাতজোরে এবং কিছুটা উন্নত চিকিৎসার কারণে কোনওরকমে বেঁচে ফিরেছেন। তবে এই পরিস্থিতি শুধু কলকাতার নয়, সারা দেশের। মারাত্মক মানসিক চাপে ভুগছেন এমবিবিএস এবং তদূর্ধ্ব এমডি-এমএস, ডিএম-এমসিএইচ প্রভৃতি পাঠ্যক্রমের মেধাবী পড়ুয়াদের একাংশ। সারা দেশ থেকে এমন গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ আসছে চিকিৎসা শিক্ষার শীর্ষ সংস্থা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর কাছে। বিশেষত স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়ারা অভিযোগ করছেন, অসম্ভব চাপের মধ্যে কাজ করতে হয় তাঁদের। সপ্তাহে একদিনও ছুটি মেলে না। খুব জরুরি দরকারে ছুটি চাইলেও বাতিল করে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় তাঁদের একাংশ রীতিমতো অবসাদে ভুগছেন।
এই পরিস্থিতিতে স্নাতকোত্তর ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মিত যোগাভ্যাসের ক্লাস চালু করার নির্দেশ দিল এনএমসি। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, দেশের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিশেষ জোর দিতে হবে। তাঁদের কাজের পরিবেশ দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন ছুটি দিতে হবে। অবসাদ বা যে কোনও মানসিক সমস্যায় কাউন্সেলিং করাতে হবে। তিনটি বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলে চটজলদি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেগুলি হল ১. আত্মহত্যা, ২. লিঙ্গ বৈষম্য ৩. মহিলাদের অসম্মান বা সম্ভ্রমহানি। এর জন্য সামগ্রিকভাবে একটি কমিটি তৈরি করতেও বলেছে এনএমসি।