ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
এদিকে, রাজ্য সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে শালুগাড়ায় একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করছে। ভিনরাজ্য থেকে বদলি হয়ে আসা জওয়ান এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এতে উপকৃত হবেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তৈরি হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। একইভাবে আরামবাগ মহকুমার গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের ভিকদাসে ‘কর্মতীর্থ’ ভবনে তৈরি হবে আরও একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। দুটি সেন্টার তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডেকেছে পূর্ত দপ্তর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লড়াইয়ে নামা রাজ্যের স্বাস্থ্য, পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মীদের সঙ্গেই কেন্দ্রের আধা সামরিক বাহিনী, বন্দর, বিমানবন্দর ও রেল কর্মীদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে বিমার যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন, তার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং আংশিক সময়ের সব কর্মীরা এই বিমার আওতায় আসবেন। একইভাবে করোনা প্রতিরোধে কর্মরত পুলিসের সঙ্গেই বিমার আওতায় থাকবেন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার, হোমগার্ড ও ভিলেজ পুলিস। নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ থেকে ওই বিমার মেয়াদ শুরু হয়েছে। থাকবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রয়োজনে বিমার মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে।
অন্যদিকে, করোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ায় রাজ্যের জরুরি আর্থিক কাজকর্ম যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য বাছাই করা একঝাঁক কর্মীকে বাড়িতে বসেই ‘ই-অফিস’ চালানোর জন্য প্রস্তুত করেছে অর্থ দপ্তর। করোনা প্রতিরোধে জরুরি পরিষেবা, সাফাই, পানীয় জল সরবরাহ, কর্মীদের বেতন এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক পেনশন প্রকল্প যাতে সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ বলে অর্থ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থ দপ্তরের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, একজন উপসচিবের নেতৃত্বে, দু’জন সহকারী সচিব এবং গ্রুপ-এইচ মিলিয়ে মোট ১৭ জন কর্মীকে এই কাজের জন্য বাছাই করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ শুরু করেছেন।