নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আবহাওয়া অফিসের খাতাকলমের হিসেব মেনে শীত এখনও না এলেও কলকাতার তাপমাত্রা কমতে শুরু করল উল্লেখযোগ্যভাবে। জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে ভালো পরিমাণ তুষারপাত এবং এরাজ্য সহ সমগ্র পূর্ব ভারতে উত্তর-পশ্চিমের শীতল বায়ু অবাধে ঢুকে পড়ার কারণে মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতার তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। বুধবার ভোরের দিকে দেখা যায়, শহরের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই হয়ে গিয়েছে। এদিন ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম এবং চলতি মরশুমের শীতলতম। আজ-কাল-পরশু উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা বাদ দিলে সারা রাজ্যেই ঝকঝকে এবং শীতল আবহাওয়া থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩০ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এর ফলে সকালের দিকে শীত-শীত ভাব আরও স্পষ্ট হবে। দিনের বেলা রোদ থাকায় কিছুটা গরম লাগলেও রাতে আবহাওয়ার হালহকিকৎ পাল্টে যাবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তারও নীচে নেমে গিয়েছে। যেমন পানাগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়াতে মঙ্গলবার রাতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রিতে নেমে যায়। উপকূলবর্তী শহর কাঁথিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গেই ক্রমে শীত থাবা বসাতে শুরু করেছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, স্থানীয় ভৌগোলিক ও গঠনগত কারণের জন্য এক-এক জায়গায় শীত আগেই অনুভূত হয়। কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার কম তাপমাত্রা টানা চার-পাঁচদিন স্থায়ী হলে শীত এসে গিয়েছে বলে ধরা হয়। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা মাত্র ৪০ শতাংশ থাকায় ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে যথেষ্ট।