বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বনদপ্তরের এক কর্তা বলেন, এদিন সকালে ওই এলাকায় একটি ৩০ বছর বয়সি মহিলা হাতিকে প্রথমে ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে বশ করা হয়। তারপরে সেটিকে রেডিও কলার পরানো হয়। বিকেলের দিকে হাতিটিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, গত কয়েকদিন ধরে জলদাপাড়া সহ সংলগ্ন বনাঞ্চলে হাতিদের দলের উপর নজরদারি রাখছিলেন বনকর্মীরা। তাতেই এই ৩০ বছর বয়সি ‘সুকন্যা’ হাতিটিকে বাছাই করা হয়। এই হাতিটির দিকে একাধিক পুরুষ হাতি আকৃষ্ট বলে বনদপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন। তাই রেডিও কলার পরানোর ক্ষেত্রে এটি আদর্শ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বনদপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই মহিলা হাতিটির দিকে একাধিক পুরুষ হাতির নজর রয়েছে। তাই আশা করা যায়, জঙ্গলে ওই হাতিটির দিকে যাবে অনেক পুরুষ হাতিই বা দাঁতাল (হার্ড)। এই অবস্থায় হাতির দলের বাকিরাও সেদিকেই ছুটবে বলে আশাবাদী বনদপ্তরও।
বনদপ্তরের ওই কর্তার আরও দাবি, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মহিলা হাতিটি কোথায় যাচ্ছে, কোন জঙ্গলে রাতে থাকছে, কোথায় দিনের বেলা থাকছে, সেবিষয়ে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা সম্ভব হবে। এর ফলে অনায়াসেই ওই হাতিটিকে কেন্দ্র করে বাকি দাঁতাল এবং হাতির দলকে নজরদারিতে রাখা সম্ভব বলেই মনে করছে বনদপ্তরও। রাজ্য বনদপ্তরের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিনহা বলেন, এর আগে মহানন্দা এবং গোরুমারাতে দুটি হাতিকে রেডিও কলার পরানো হয়েছিল। তবে সেবার শুধুমাত্র হাতিদের গতিবিধির উপর নজরদারির কথা মাথায় রেখেই এই রেডিও কলার পরানো হয়েছিল। এবার সেই নজরদারি ছাড়াও, এর সহযোগিতায় হার্ডদের গতিবিধিতে নজর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। কয়েকমাসের মধ্যে জলদাপাড়াতে আরও একটি হাতিকে একইভাবে রেডিও কলার পরানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, জলদাপাড়া সহ মাদারিহাট, কালচিনি, বীরপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০টি হাতি এই মুহূর্তে একাধিক দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ‘হার্ড’দের উপর নজরদারি করতেই এই দুটি হাতিকে রেডিও কলার পড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।