পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটে ২ মে। অভিযোগকারীর মেয়ে কাবেরী নন্দী বলেন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শ্যামবাজার ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট রয়েছে বাবার। ওইদিন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছিল। দুপুরে বাবার কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, ‘গরমের জেরে ব্যাঙ্কের যাবতীয় সার্ভার খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই ফোন করেই গ্রাহকের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে’। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হওয়ায় সাইবার প্রতারণা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু, তীব্র গরমের ‘যুক্তি’তে জয়ন্তবাবুকে প্রভাবিত করে প্রতারকরা। জানতে চাওয়া হয় ব্যাঙ্কের তথ্য। এরপরেই পরপর সাতটি লেনদেন হয়। নিমেষে গায়েব হয়ে যায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। তবে ফোনে আসেনি কোনও ডেবিট মেসেজ।
কাবেরী জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে আমার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আমার মেল আইডি যুক্ত করা রয়েছে। সেখানেই একটি ৩০ হাজার টাকা ডেবিটের মেসেজ দেখে বিষয়টি জানতে পারি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে দ্রুত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্লক করেন কাবেরী। শ্যামপুকুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি। নর্থ ও নর্থ সাবার্বান ডিভিশনের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন জয়ন্তবাবু। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করতে পারে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা।