পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
সম্প্রতি আয়কর আইনে সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও সংস্থা যদি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের থেকে কাঁচামাল নেয় এবং তার দাম যদি ৪৫ দিনের মধ্যে না মেটায়, তাহলে তারা আয়কর আইনে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ছাড় পাবে না। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে, এতে ছোট শিল্পের উপকার হবে। তাদের হাতে নগদ টাকার জোগান বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে হিতে বিপরীত হয়েছে। ছোট শিল্প সংস্থাগুলির অভিযোগ, ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা মেটানোর আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প সংস্থাগুলি থেকে কাঁচামাল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে বহু সংস্থা। নয়া আইন চালু হয়েছে চলতি অর্থবর্ষ থেকে। আইন বদল করার আর্জি জানিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রস্তাব গিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু তারপরও সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল। সুরাহা চেয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডল। তাদের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই দেশের ৪০ হাজার সংস্থা বরাত না পেয়ে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে।
সমস্যা কোথায়? আয়কর আইনের ৪৩বি ধারার ‘এইচ’ উপধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও সংস্থা ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পের পেমেন্ট নির্দিষ্ট সময়ে (সর্বাধিক ৪৫ দিন) না মেটায়, তাহলে আয়কর আইনে ছাড় মিলবে না। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা নির্দিষ্ট সময়ে মেটাবে না, তা ‘খরচ’ হিসেবে গণ্য হবে না এবং তা মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে ওই বাকি রাখা টাকার উপর কর মেটাতে হবে সংস্থাটিকে। এক্ষেত্রে কর বাঁচাতে সংস্থাগুলি ক্ষুদ্র শিল্প থেকে জিনিস কেনা বন্ধ করে দেবে। তাতে ব্যবসার দফারফা হবে। অন্যদিকে, সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।