পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বাংলায় প্রবাহিত গঙ্গায় আগে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে গঙ্গায় ইলিশের জোগান কমেছে। তাই গঙ্গায় ইলিশ বাড়াতে আগেই উদ্যোগী হয়েছে সিফরি। উচ্চ প্রবাহ থেকে নিম্ন প্রবাহ পথে ছোট ইলিশ ছাড়া হয়েছে। এছাড়াও, গঙ্গা থেকে পূর্ণবয়স্ক ফিমেল ইলিশ তুলে ডাঙায় ব্রিডিং করানো হয়েছে। কয়েক লক্ষ ইলিশের ডিমপোনা ছাড়া হয়েছে। নদীর পাশাপাশি, পুকুরেও কীভাবে ইলিশ মাছ চাষ করা যায়, তারও উদ্যোগ নিয়েছে সিফরি। আইসিএআর-এনএএসএফ প্রকল্পে সিফরি কর্তৃপক্ষ রাজ্যের তিন জায়গায় পুকুরে ইলিশ চাষ শুরু করে।
সিফরি সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর মহকুমার রহড়ায় আইসিএআর-সিআইএফএ’র অধীনে একটি পুকুরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে আইসিএআর-সিআইবিএ’র অধীনে একটি পুকুরে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের জামিতিয়া গ্রামে আইসিএআর-সিফরি’র অধীনে একটি পুকুরে ইলিশ চাষ হচ্ছে। ৩৬ মাস অর্থাৎ তিন বছর আগে এই তিন জায়গাতেই ১০-১৫ গ্রাম ওজনের ইলিশের চারা ছাড়া হয়েছিল। ১ মে কোলাঘাটের জামিতিয়ার পুকুরে একটি ইলিশ ধরা হয়েছে। যার ওজন হয়েছে ৬৮৯ গ্রাম!
সিফরি জানিয়েছে, বাকি দু’জায়গায় এতবড় হয়নি। তবে, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজন হয়েছে। কোলাঘাটের ওই পুকুরে রূপনারায়ণের জল ঢোকানো হয়েছিল। গঙ্গায় ৩ বছরে ইলিশ এত বড় হয় না। এখানে কী করে হল, তা খতিয়ে দেখছেন সিফরির বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিক অনুমান, গঙ্গায় ইলিশকে খাবার খুঁজতে বা শিকার করতে হয়। এখানে পর্যাপ্ত খাবারও দেওয়া হয়েছিল। তার একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পুকুরে ইলিশ চাষের এই সাফল্য বাংলা সহ দেশজুড়েই ছড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষও পুকুরে তা চাষ করতে পারবেন। তাহলে জোগানও বাড়বে। জোগান বাড়লে কমবে দামও। স্বাদ? সিফরির দাবি, স্বাদেও টক্কর দেবে পুকুরের ইলিশ।