পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
গত শুক্রবার প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল ময়দান স্টেশনে। এখানে প্রায় দু’সপ্তাহেরও বেশি হয়ে গেল খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে এসকেলেটর। আপ-ডাউনে দু’টি মেট্রো রেক একসঙ্গে কিংবা কয়েক মিনিটের ব্যবধানে প্রবেশ করলেই চরম অব্যবস্থা তৈরি হয়। ওই দিন শেক্সপিয়ার সরণির এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী কেয়া ঘোষ ময়দান স্টেশনে পায়ে চোট পান। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ মেট্রো ধরবেন বলে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামছিলেন। এসকেলেটর খারাপ থাকায় বহু যাত্রী একসঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। কেয়াদেবীর কথায়, ‘আমি ঠেলাঠেলিতে সিঁড়িতে পড়ে যাই। অনেক যাত্রী আমার পায়ের উপর দিয়ে হেঁটে চলে যায়। পরের দিন এক্স রে করানোর পর জানা যায় পায়ে চিড় ধরা পড়েছে। অ্যাপ ক্যাবে অফিস যাতায়াত করছি। এসকেলেটর ঠিক না হলে মেট্রোতে যাওয়া-আসা অসম্ভব।’ এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় মেট্রো যাত্রীদের চরম হয়রান করছে। এই মুহূর্তে বেশিরভাগ যাত্রী স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেন। গেট দিয়ে ঢোকার আগে বা বেরনোর সময় স্মার্ট গেটে কার্ডের ব্যালান্স চেক করে নেন। কিন্তু নর্থ-সাউথ করিডরের অধিকাংশ স্টেশনে থাকা ওই যন্ত্রের স্ক্রিন খারাপ। বেশিরভাগ স্ক্রিন কালো হয়ে গিয়েছে। ফলে কার্ডে কত টাকা জমা রয়েছে, তা জানতে পারছেন না যাত্রীরা। ব্যস্ত সময়ে বহু ক্ষেত্রেই স্মার্ট গেটগুলিও কাজ করে না। স্মার্ট কার্ড কিংবা টোকেন, স্পর্শ করলে বিকট শব্দ শুরু হয়। যা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বচসা লেগে যায়। মেশিনের গাফিলতি থাকলেও সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে লাইনে দাঁড়ানো পিছনের সহযাত্রীদের কটু কথা শুনতে হয়।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘লোকসানের বহরে কলকাতা মেট্রো গত কয়েকদশক ধরে দেশের মধ্যে সেরার শিরোপা পাচ্ছে। রেল বোর্ডের আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণে এই মেট্রোর সুনাম ক্রমেই কমছে। ফলে টাকার অভাবে যা হওয়ায় তাই হচ্ছে। ভুগছেন যাত্রীরা।’