স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
বিদ্যুতের তারের উপর ভেঙে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে বুধবার হাওড়ার বেলুড়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় দমকলকর্মী সুকান্ত সিংহরায়ের। তাঁর বাড়ি হুগলির তারকেশ্বরের সন্তোষপুরে। বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ মা, বাবা, দাদা ও বউদি। করোনা আবহে লকডাউনের জন্য বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে অফিস যেতেন সুকান্ত। পরপর চারদিন ডিউটি করে সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু, সেই রুটিনে ছেদ পড়ে গেল বুধবারের মর্মান্তিক ঘটনায়।
বৃহস্পতিবার মৃতের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের ভিড়। মৃতের বাবা সুশান্তবাবু বলেন, নতুন বাড়ি তৈরি করছিল ছেলে। দরজা-জানলা নিজে হাতেই রং করেছে। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ বাইক নিয়ে ও কাজে রওনা দিয়েছিল। অফিসে পৌঁছে আমাকে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়, ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছে। পরে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলে। তখনও জানতাম না, এভাবে ছেলেকে হারাব। বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতে দুর্ঘটনায় আমি সন্তানকে হারিয়েছি। তবে, আগামী দিন যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার।
সুকান্তর মৃত্যুতে সিইএসসির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে দমকল বিভাগও। এই ঘটনায় ওই দপ্তরের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শোক জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পরিবারের একজনকে চাকরি ও এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন।
হরিপাল বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে স্নাতক সুকান্তর সামাজিক কাজে ভীষণ উৎসাহ ছিল। সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষণের পর তারকেশ্বর থানার অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে হাওড়া জেলার বালি ফায়ার স্টেশনে চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর দাদা সুদীপ্ত সিংহরায় বলেন, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বাড়ির সব কিছুই ভাই নিজে হাতে সামলাত। গ্রামের মানুষের কোনও অসুবিধা হলে ভাই সকলের আগে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আজ সেই ভাই আমাদের মধ্যে নেই। আমরা অনাথ হয়ে গেলাম।