স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে পরিকল্পনা ছাড়াই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রেল মন্ত্রকের এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে বিড়ম্বনায় ফেলতে গিয়ে, আসলে বাংলারই সর্বনাশ ডেকে আনা হল। আর এদিন উম-পুন পরবর্তী পুনর্গঠন, লক ডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি, করোনা প্রতিরোধ এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বিষয় নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে এদিন ভিডিও কনফারেন্সে জরুরি বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। ওই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে রেল মন্ত্রকের একতরফা সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান। তিনি জানিয়ে দেন, ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে বদ্ধপরিকর নবান্ন। তবে সেটা পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে করলে সংক্রমণ অনেকটাই ঠেকানো যেত। ওই বৈঠকেই মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, করোনা প্রতিরোধ অনেকটাই করা গিয়েছিল। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে সংক্রমণ নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে শুরু করায়, তা ছড়িয়ে পড়ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও এদিন কেরল থেকে তিনটি, রাজস্থান থেকে দুটি এবং তামিলনাড়ু ও গুজরাত থেকে একটি করে ট্রেন এসেছে রাজ্যে।
পরিসংখ্যান বলছে, মাঝে করোনার আগ্রাসন কিছুটা প্রতিহত করা গেলেও, ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে চেপে ফিরে আসা মাত্রই সংক্রমণের হার বাড়ছে। গ্রিন জোনে থাকা উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বাড়তে থাকে করোনার প্রাদুর্ভাব। যদিও পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো এবং একইসঙ্গে সংক্রমণ ঠেকাতে পরিকল্পনা করে মোট ২৩৫টি ট্রেনের তালিকা রেল মন্ত্রককে দিয়েছিল নবান্ন। ঠিক হয়েছিল গত ১৭ মে থেকে পর্যায়ক্রমে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ট্রেনে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হবে পরিযায়ীদের। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়। কিন্তু তার মাঝেই শুধুমাত্র মহারাষ্ট্র থেকে ৩৬টি ট্রেনে গাদাগাদি করে চাপিয়ে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায়, সংক্রমণ ঠেকানো কষ্টসাধ্য হবে বলেই মনে করছে নবান্নের শীর্ষ স্তরের কর্তরা। মমতার সুরেই রাজ্যকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি ট্রেন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও।
এদিকে, স্বাস্থ্য প্রটোকল বিধি অনুযায়ী ভিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। ১৪ দিনের আইসোলেশন পর্ব শেষে তাঁদের লালা রস পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রক্রিয়া এদিন থেকেই শুরু হয়েছে।