ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
পোস্তায় স্বাভাবিক কাজ চালাতে প্রয়োজনীয় মুটিয়া-মজদুরের অভাব রয়েছে। লকডাউন হওয়ার পর অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। যাঁরা আছেন, তাঁদের দিয়েই কাজ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন ধর্মশালায় তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেছে অ্যাসোসিয়েশন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এখানে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে। আপাতত খুচরো বাজারে সরবরাহ করতে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে ভিনরাজ্য থেকে সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় পোস্তামুখী প্রচুর ট্রাক রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। ওইসব ট্রাকে ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। ওই ট্রাকগুলিকে পোস্তায় আনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীকে বাজারজাত করার বিষয়ে রাজ্য পুলিসের এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ডিজি গঙ্গেশ্বর সিং ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভবানীভবনে আলোচনায় বসেছিলেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ভিনরাজ্যে আটকে থাকা ট্রাকগুলির নম্বর পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। ওই ট্রাকগুলি যাতে আসতে পারে, তার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিসের সঙ্গে কথা বলবে রাজ্য পুলিস।
পুলিস কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ব্যাপারে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কলকাতা ও আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস খাদ্যসামগ্রীর লরি আটকে দিচ্ছে। এতে খাদ্য সরবরাহের সমস্যা হচ্ছে। এটা বন্ধ না হলে আগামী দিনে সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। কোলে মার্কেট সহ বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে যে সব সমস্যা হচ্ছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। পুলিসের পক্ষ থেকে সব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।