ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৫০০-রও বেশি বাসিন্দাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আশার কথা, এখনও পর্যন্ত জেলায় কারও শরীরে করোনা পজিটিভ মেলেনি । প্রায় ১০০ জনকে টানা ১৪ দিন নজরদারিতে রাখার পর সন্দেহমুক্তও করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল এবং সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নার্সরা পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, উপযুক্ত পোশাক, মাস্কের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। লকডাউন সময়কালে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থারও দাবি করেন তাঁরা। এই দু'টি হাসপাতালেই করোনা সন্দেহে পর্যবেক্ষণে রাখা আছে একাধিক ব্যক্তিকে। তাই তারা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। এ বিষয়ে মহকুমা হাসপাতালের এক কর্তা জানান, নার্সদের জন্য মাস্ক ও নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চুঁচুড়া থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক পুলিস ও প্রশাসনের তৎপরতার জেরে হুগলিতে বাসিন্দাদের গতিবিধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর হুগলির অধিকাংশ মহকুমা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও রাস্তঘাটে জমায়েত দেখা যায়নি। এদিন জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলিতে কালোবাজারি রুখতে পুলিসের তরফে অভিযান করা হয়। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিস যেমন, চাল, ডিম, মুড়ির দাম অনেকটাই বেড়েছে। বাজারে রুটি, প্যাকেট জাত দুধ, বিভিন্ন ফল, মাছের অভাব শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ওষুধ বিশেষ করে হৃদরোগ, সুগারের কম্বিনেসান ড্রাগের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই জেলাপ্রশাসন ও জেলা পুলিস একত্রিত ও পৃথকভাবে বৈঠক করে।
অন্যদিকে, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ও বিধায়ক অসিত মজুমদার নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছেন। রাজ্যের আরেক মন্ত্রী অসীমা পাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দু’লক্ষ টাকা দান করেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আইসোলেশানে নতুন করে কোনও ব্যক্তিকে নেওয়া হয়নি। আগে থেকেই সেখানে থাকা তিনজনের শারীরিক কোনও জটিলতা এখনও নজরে আসেনি।