প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নবান্নের বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত এই চিঠির খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেন দলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থবাবু ওইদিন রাতেই খসড়া তৈরি করেন বাড়িতে বসেই। মঙ্গলবার তিনি তা মান্নানদের কাছে পাঠান ই-মেল করে। সেই খসড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নবান্নে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মমতার উদ্যোগকে সব দলের তরফে কীভাবে সাধুবাদ জানানো হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। সেই সঙ্গে অবশ্য রাজ্যের ডাক্তার, নার্স, পুলিস সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানানোর প্রসঙ্গ বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
এই চিঠির খসড়ায় মূলত তিনটি দাবির মধ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে প্রায় আট কোটি মানুষকে আগামী ছ’মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্র যদি এই হাজার কোটি টাকার অনুদান রাজ্যকে দেয়, তাহলে সরকারের পক্ষে এই ধরনের আরও কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। দ্বিতীয় দাবি হিসেবে ঋণের উপর সুদ মকুবের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এই পরিস্থিতিতে অন্তত ১২ মাসের জন্য রাজ্যের ঘাড়ে থাকা ঋণের উপর সুদ মকুব করুক কেন্দ্র। তৃতীয় দাবিতে করোনা সংক্রমণ নির্ধারণে জরুরি কিট, ল্যাবরেটরি সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে দ্রুত সরবরাহের আর্জি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে সর্বদলীয় বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি সেখানে চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু বলেননি। সর্বদলীয় বৈঠকে যাবতীয় বিরোধিতা দূরে ঠেলে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিরোধীরা সোমবার নজির তৈরি করেছে। এমনকী, প্রথমে ইতস্তত করলেও বিজেপি’র প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে দরবার করার পক্ষে মত দেন। তাই চিঠির খসড়া নিয়ে শেষমেশ বিশেষ আপত্তি উঠবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মান্নান ও সুজনের প্রাথমিক কথাবার্তায় তেমনই আভাস মিলেছে।