কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনও আবাসন থেকে বেআইনি শব্দবাজি ফাটানো হলে অথবা বিপজ্জনকভাবে বাজি ফাটানো হলে সংশ্লিষ্ট আবাসন কর্তৃপক্ষকে তার দায় নিতে হবে। থানার সঙ্গে বৈঠকে পুলিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আবাসন কর্তৃপক্ষ নিজেদের আবাসনে বাজি ফাটানোর বিষয়ে সকলকে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আবাসনে যে বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে, সেই বাড়িকে এবিষয়ে আলাদা করে সতর্ক করতে হবে। তারপরেও যদি কোথাও বেআইনি শব্দবাজি ফাটানো হয় অথবা বিপজ্জনকভাবে বাজি ফাটানো হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে এবিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। পুলিসের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, পুজো এলাকায় বিভিন্ন সময় শব্দবাজি নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই সেই কাজ যাতে না হয়, সেবিষয়ে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও পুজো কমিটিগুলির কাছে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, তারা যখন বাড়ি বাড়ি চাঁদা সংগ্রহ করতে যাবে তখন বাসিন্দাদের নিষিদ্ধ শব্দবাজি না ফাটানোর বিষয়ে সচেতন করবে।
বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি (সদর) কুনাল আগরওয়াল বলেন, ইতিমধ্যে আবাসন কর্তৃপক্ষদের নিয়ে থানা ভিত্তিতে বৈঠক করা হয়েছে। কোন কোন বাজি ফাটানো যাবে না, সেই তালিকা তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, নিষিদ্ধ বাজি ফাটলে তার দায় তাদের নিতে হবে। সল্টলেকের এক আবাসনের বাসিন্দা বলেন, থানার সঙ্গে বৈঠকে পুলিসের পক্ষ থেকে তাঁদের কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই নির্দেশ সম্পর্কে সমস্ত আবাসনের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে। নতুবা কড়া পদক্ষেপ করবে পুলিস। তাই তাঁরা কমিশনারেটের নির্দেশ মতো বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি যাতে কেউ না ফাটায়, সেবিষয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করে থানার পক্ষে প্রচার করা হচ্ছে।
আবাসনের পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় শব্দবাজির দাপাদাপি নিয়ে ‘কুখ্যাত’ এলাকাগুলিকে ইতিমধ্যে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের প্রথম অ্যাভিনিউয়ের দু’পাশের এলাকা, ব্রডওয়ের দু’পাশের এলাকা, লেকটাউনে জয়া সিনেমা হলের চারপাশের এলাকা, শ্রীভূমি এলাকা, কেষ্টপুর, মহিষগোট, পূর্ব নারায়ণতলা, জগৎপুর, গৌরাঙ্গনগর, তারুলিয়া, কেষ্টপুর, তেঘরিয়া, নারায়ণপুর, অশ্বিনীনগর, আকন্দকেশরী, নিউটাউন বাসস্ট্যান্ড প্রভৃতি এলাকা। কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ওই সমস্ত এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিস ঘুরবে। এছাড়াও স্থায়ী ভাবে সাদা পোশাকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সবসময় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে অলিগলি কোথাও শব্দবাজির দাপাদাপি হলে তৎক্ষনাৎ পুলিসের কাছে খবর আসে। এছাড়াও থানা এবং কমিশনারেটের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টহলদারিরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সর্বত্রই।