হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে এনআরসি বিরোধী যুক্ত মঞ্চের ওই প্রতিবাদ মিছিল বেরয়। কানহাইয়ার জন্য যথারীতি তরুণ প্রজন্মের বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। এ নিয়ে কিছুটা হুড়োহুড়ি পড়ে তাঁকে ঘিরে। কিছুটা হাঁটার পর কানহাইয়াকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় নিরাপত্তার কারণে। ভূপেশ গুপ্ত ভবনে দলের রাজ্য দপ্তরে গিয়ে নেতাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন তিনি। তারপর মিছিল শেষে রাজাবাজারে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিতে যান। ভাষণে তিনি এনআরসি নিয়ে মোদি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। তাঁর কথায়, ব্রিটিশ সরকার যেমন বিভাজনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে, ঠিক একই পথ নিয়েছে বিজেপি। জাতি-ধর্মের আড়ালে মানুষকে বিভাজিত করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। এই লক্ষ্যেই তারা এনআরসি করতে চাইছে বিভিন্ন রাজ্যে। অসমে করার পর তারা বাংলায় হাত দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তবে বাংলার মানুষ তাদের প্রতিবাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে বিজেপির এই দুরভিসন্ধি সফল হতে দেবে না। এই সভায় বক্তব্য রাখেন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক আলি ইমরান রামজ, বাম যুব নেতা প্রসেনজিৎ বসু প্রমুখ।
এদিকে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার ইস্যুতে স্বাধীনতা দিবসকে বিশেষ প্রতিবাদ জানানোর দিন হিসেবে পালন করে বামফ্রন্ট। এদিন সকালে তারা কলকাতা সহ রাজ্যের সব জেলায় দু’ঘণ্টা করে ধর্না-বিক্ষোভ করে। শহরের কর্মসূচিগুলিতে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মনোজ ভট্টাচার্য, হাফিজ আলম সাইরানি, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মঞ্জুকুমার মজুমদার প্রমুখ অংশ নেন। সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগে সরব হন সভাগুলিতে।