হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শুক্রবার সকালে দেগঙ্গার কৃষ্ণকুমার কলোনি এলাকার এক ব্যক্তির জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম অনুপ সর্দার (৩৮)। তিনি পেশায় পুকুরের পাহারাদার ছিলেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ দিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন অনুপ। জ্বরে আক্রান্তের পরদিনই তাঁকে দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসাত জেলা হাসপাতালে। সেখানে তিনি দু’দিন ভর্তি ছিলেন। অভিযোগ, হাসপাতালে থেকে অনুপকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। জ্বর না ছাড়ায় বাড়িতে ওঝা গুণিনের দ্বারস্থ হন তাঁর বাড়ির লোকজন। গত কয়েক দিন ধরে নিয়ম করে ঝাড়ফুঁক চলছিল। এদিন সকালে অনুপের মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী আঙুরবালা সর্দার বলেন, বারাসত হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তাই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। বাড়িতে এসেও স্বামীর ফের জ্বর হয়। টাকা পয়সার অভাবে আমরা ডাক্তার দেখাতে পারিনি। তাই ওঝার দ্বারস্থ হই। দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মৌলিক বলেন, জ্বরে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়িতে আমরা আগেই গিয়েছিলাম। ওনাদের বারবার বলা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি করতে। হাসপাতালে ভর্তির জন্য চাপ দেওয়া হলে, ওনার পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, বন্ডে সই করতে হবে। তবেই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেবে।
এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিন বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হল। মৃতের নাম মেহেদি হাসান। তার বাড়ি আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম আমুলিয়া গ্রামে। গত বুধবার বারাসত হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ওই শিশুকে ভর্তি করা হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার ফুলবাগান শিশু হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হওয়ায় প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এদিন দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল ও বিডিও সুব্রত মৌলিক সহ প্রশাসনিক কর্তারা এলাকায় যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ব্লক শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একাধিকের মৃত্যু ঘটছে। কিন্তু, দুই গোষ্ঠী এরই মাঝে নিজেদের কোন্দল নিয়ে ব্যস্ত। এদিন দুপুরে আমুলিয়ায় বিধায়ক সহ ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা ডেঙ্গুতে মৃত শিশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পুলিসের কাছে আগাম খবর পেয়ে শিশুর বাড়িতে গেলেন না বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা ঘুরপথে এলাকা ছাড়েন। বিধায়ক রহিমা মণ্ডল যদিও বলেন, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি।