যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
সোমবার চতুর্থ দফার ভোট শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ভোট হয়ে গিয়েছে ৩৭৯ কেন্দ্রে। বাকি আর তিন দফা। তবে এর মধ্যেই ট্রেন্ড পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে মত বিরোধীদের। মোদি ঝড় উধাও, রামমন্দির ইস্যুও পিছনের সারিতে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, বঞ্চিত মধ্যবিত্ত... একের পর এক ইস্যু বিপক্ষে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির। তার উপর নির্বাচনী বন্ড নিয়ে লাগাতার বিজেপি-বিরোধী ক্ষোভ। এছাড়া এজেন্সির অতিসক্রিয়তা তো রয়েইছে। এই সব মিলিয়ে তাই কংগ্রেস আশাবাদী, ১৪০’এর কম আসন তাদের ঝুলিতে আসবে না। সেক্ষেত্রে হেসেখেলে ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গড়ে ফেলবে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ২০০৪ সাল। সেবার কংগ্রেস ১৪৫টি আসন পেয়েও ইউপিএ সরকার গঠন করেছিল। আর যেভাবে এই চার দফায় ভোটদানের হার কমছে, তাতে উজ্জীবিত হয়ে উঠছে কংগ্রেস। বছরে ১ লক্ষ টাকা নিশ্চিত করতে এখন থেকেই কংগ্রেসের ফর্ম ভরার উৎসাহ বাড়ছে মহিলাদের মধ্যে। ততটাই কপালে ভাঁজ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের।
২০১৯ সালের ভোটে কংগ্রেস ৪২১ আসনে লড়েছিল। জয় হাসিল হয়েছিল মাত্র ৫২টিতে। নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বে বিজেপি ৪৩৬ আসনে লড়ে জিতেছিল ৩০৩। রেজাল্ট বেরনোর আগে প্রচার পর্বেই ওই সংখ্যা জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। কাঁটায় কাঁটায় ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ মিলে যাওয়ায় ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) উপর সন্দেহ বেড়েছিল বিরোধীদের। নির্বাচন কমিশন অবশ্য সাফ জানিয়েছে, ইভিএমে কারচুপি করা যায় না। তারপরও সন্দেহ-মুক্ত নয় রাজনৈতিক মহল। তবে বিরোধীরা নিশ্চিত, এবার কোনও ভবিষ্যদ্বাণী মিলবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে তো নয়ই। আর তাই ট্রেন্ড বুঝতে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নির্দেশ মতো কংগ্রেস ঘরে ঘরে সমীক্ষা করেছে। হিসেব কষেছে, নিজেরা কত আসন পেতে পারে। দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত ১১০-১২০ আসছেই। বাকিটা শেষ তিন পর্বে নিশ্চিত হয়ে যাবে। এমনকী, কোনও কোনও রাজ্যে ‘সারপ্রাইজ’ ফল হবে বলেও আশায় রয়েছে হাইকমান্ড। একবার ‘ইন্ডিয়া’ ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি পৌঁছে গেলে এনডিএ ছেড়েও অনেক দল মহাজোটে শামিল হবে। দলের অন্দরে তাই শোনা যাচ্ছে, ‘অব কি বার/ দো হাজার চার।’
২০০৪ সালের পুনরাবৃত্তির অপেক্ষাতেই বসে কংগ্রেস।