যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে উপত্যকার দু’টি আসন অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে ভোটগ্রহণ হয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পর এই প্রথম ভোট হল জম্মু ও কাশ্মীরে। ভোটারদের সঙ্গে আলোচনায় বারবার উঠে এল প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা, পরিকাঠামো, চাকরির সুযোগের মতে ইস্যুগুলি। প্রধান্য পেল পূর্ণরাজ্যের তকমা, ৩৭০ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের বিষয়ও। তবে ঘুরে ফিরে এল স্থানীয় সরকারের দাবিই। ২০১৬ সালে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর রক্তাক্ষয়ী অশান্তি-বিক্ষোভের প্রাণকেন্দ্র ছিল অনন্তনাগ লোকসভার অন্তর্গত ত্রাল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলওয়ামার এই ছোট্ট শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে অনেকটাই বদল এসেছে। সেই চিত্র ধরা পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায়।
শ্রীনগর লোকসভা আসনে বেলা ৩টে পর্যন্ত ভোটের হার প্রায় ৩১ শতাংশ। আবদুল্লা পরিবারের তিন প্রজন্ম একসঙ্গে ভোটদান করেন। নির্বাচন নিয়ে এই মনোভাব পরিবর্তনের কারণও স্পষ্ট করেছেন স্থানীয়রা। জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের নাগপাশ ছিঁড়ে উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতে চাইছেন তাঁরা। এই বার প্রথম ভোট দিলেন শাকিব আলি। তাঁর কথায়, ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও সরকার নেই। স্থানীয়দের সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি অত্যন্ত জরুরি। সেকারণেই ভোট দিতে এসেছি।
শ্রীনগরে বুথের মুখে দেখা মিলল মহম্মদ আমিরের। দুই ছেলের সঙ্গে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে এসেছেন। প্রায় ৩৭ বছর পর। ভোট নিয়ে প্রশ্ন করতেই মাস্কটা থুতনিতে নামিয়ে বললেন, সম্ভবত ১৯৮৭ সালে ফারুক আবদুল্লা জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। গোটা রাজ্যজুড়ে তুমুল রিগিং হয়েছিল। সেই জন্য আর বুথমুখো হতাম না।’ কিন্তু, এবার? বৃদ্ধের জবাব, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ যেভাবে প্রত্যাহার করেছে মোদি সরকার, তা জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য মোটেই ভালো হয়নি। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপির মতো স্থানীয় দলগুলি বলছে, তারা জিতলে বিশেষ রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে আনবে। এইজন্য ভোট দিতে এসেছি।’ ভোটারদের একটা বড় অংশই প্রকাশ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন। ফারহাত আহমেদ জানিয়েছেন, আমরা স্থানীয় সরকার চাই। বিজেপি জন্যই ভোট বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই বয়কট না করে আমরা দলে দলে ভোট দিতে এসেছি।