আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
প্রাথমিক তদন্তের পর বনদপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, শর্ট সার্কিট থেকেই হলং বাংলো পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু গত ১৬ জুন থেকে তিন মাসের জন্য সেখানে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলোয় কোনও পর্যটকও ছিলেন না। এখানেই প্রশ্ন, বাংলোয় এসি মেশিনে বিস্ফোরণ হল কী করে? এসি মেশিন কী চলছিল? তাহলে সেটা চালাল কে? তবে বুধবার বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, এসি মেশিন চলছিল, সেখান থেকেই আগুন লেগেছে, এই তথ্য কোথা থেকে এল? তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সামনে আসুক, তারপরেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তবে এলাকার বাসিন্দা বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করেছেন, এখন জঙ্গল বন্ধ। পর্যটক নেই। শোনা যাচ্ছে এসি থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। কাঠের বাংলো পুড়িয়ে দিয়ে অন্তর্ঘাত করা হতে পারে। তাঁর প্রশ্ন, নতুন করে তৈরি করে কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে বাংলোটি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কি রয়েছে?
কিন্তু বনদপ্তরের আধিকারিকরা অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেবি বলেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, লাগাতার বৃষ্টি মধ্যে শর্ট সার্কিটের জেরেই হলং বাংলো পুড়ে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। রক্ষণাবেক্ষণে কর্মীদের কোনওরকম গাফিলতি ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ আগুন লাগে হলং বাংলোয়। আগুনে বাংলোর কনফারেন্স রুম সহ আটটি ঘর পুড়ে যায়। প্রথমে বাংলোর দ্বিতলে তিন নম্বর রুমে আগুন লাগে। ওই ঘরটি তালাববন্ধ ছিল। বনকর্মীরা আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তারপরেই বাংলোর এসির আউটডোর মেশিনে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা বাংলোকে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ব্রিটিশ আমলের স্থাপত্য।