সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
করোনা রুখতে মাস্কের সঙ্গেই স্যানিটাইজার ব্যবহারও জরুরি। তাই স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু, মাস্ক বা স্যানিটাইজারের জোগান নিয়ে চিন্তা ছিল। সেই সময়ই জেলা প্রশাসন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অ্যালোভেরাকে কাজে লাগিয়ে স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা নেয়। তখন থেকে এখনও সমানে চলছে স্যানিটাইজার তৈরি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, স্যানিটাইজার তৈরিতে অ্যালোভেরা জরুরি নয়। হু-এর গাইড লাইনে তা বলা নেই। কিন্তু, অ্যালোভেরার একাধিক গুণ রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়। তার সঙ্গে সুগন্ধি। তাই বছর চারেক আগে তৈরি হওয়া অ্যালোভেরা বাগানই এখন ‘সঞ্জীবনী’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগরের হরিপুরে রুখা-শুখা জমিতে আয়ূষ উদ্যান তৈরি হয়। ২০১৬ সাল নাগাদ প্রায় ১০৪ বিঘা জমিতে সেই উদ্যান তৈরি হয়। তার মধ্যে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছে অ্যালোভেরা বাগান। ১০০দিনের কাজের মাধ্যমে এলাকারই মহিলাদের কাজে লাগিয়ে ওই বাগান তৈরি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার চারা সেই বাগানে রয়েছে। অ্যালোভেরা বাগানের নাম ছড়াতেই কলকাতা থেকে এসে নিয়মিত একটি সংস্থা কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু, লকডাউনের আগে থেকে তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার জেলা প্রশাসনই অ্যালোভেরা কিনে স্যানিটাইজার তৈরির বরাত দিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই বাগান চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেই বাগানের পরিচর্যা করছেন। তা বিক্রি করে যেমন আয় হচ্ছে, তেমনি অন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা স্যানিটাইজার তৈরি করে উপার্জন করছেন। এমনকী, প্রস্তুত হওয়া স্যানিটাইজার বিভিন্ন সরকারি অফিস, বাজারে বিক্রি করেও মহিলারা আয়ের দিশা দেখছেন। পঞ্চায়েতের এক কর্তা বলেন, প্রতিদিন হরিপুরের ওই বাগান থেকে অ্যালোভেরা বিক্রি হয়। প্রতি কেজি অ্যালোভেরার দাম ২২টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ কুইন্টাল বিক্রি করা হয়েছে। অ্যালোভেরা বিক্রি করে আগে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা রিঙ্কু কোনাই বলেন, অ্যালোভেরা চাষ করে লাভ হওয়ায় তা আরও বড় আকারে করা হচ্ছে।