আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
নেদারল্যান্ডস-০ : ফ্রান্স-০
লিপজিগ: একের পর এক সুযোগ নষ্ট দেখে নিশ্চয়ই হাত কামড়াচ্ছিলেন এমবাপে। নাকে চোটের কারণে তিনি নামতে পারেননি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। তাঁর অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেলেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেঁশ। একা গ্রিজম্যান খান চারেক গোল মিস করলেন। বিক্ষিপ্তভাবে আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ‘লে ব্লুজ’। কিন্তু গোল করার লোকের অভাবে ভোগাল তাদের। গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইউরোর অন্যতম ফেভারিট ফ্রান্সকে।
প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি। ১৪ মিনিটে ছ’গজ বক্সে র্যাবিয়টের সাজিয়ে দেওয়া বল গোলে পাঠাতে ব্যর্থ হন ফরাসি তারকা গ্রিজম্যান। ফিরতি আক্রমণে ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবারও হতাশ করেন আতলেতিকো মাদ্রিদের প্রাণভোমরা। পরিসংখ্যান বলছে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এমবাপের রেকর্ড খুবই ভালো। কিন্তু তাঁকে নমানোর ঝুঁকি নেননি কোচ। প্রবল চাপে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের তারকা স্ট্রাইকার গাকপো গোল করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। ১৬ মিনিটে তাঁর ডান পায়ের দূরপাল্লার শট দক্ষতার সঙ্গে বাঁচান ফরাসি গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গ্রিজম্যান ফের গোল মিস করেন। তাঁর প্রয়াস ডাচ গোলরক্ষক কোনওরকমে প্রতিহত করতে সফল হন। তবে প্রতি আক্রমণে ৬৯ মিনিটে গোল তুলে নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া সিমন্সের শট জাল কাঁপিয়ে দেয়। গ্যালারিতে বইতে শুরু করে কমলা ঢেউ। কিন্তু ডামফ্রিস অফসাইডে থাকায় সেই গোল বাতিল হয়। হতাশা নেমে আসে ডাচ শিবিরে।
এদিকে, পোল্যান্ড ১-৩ গোলে হারল অস্ট্রিয়ার কাছে। ন’মিনিটেই হেডে বল জালে জড়ান গারনট ট্রনার (১-০)। ৩০ মিনিটে সমতা ফেরান পিয়াটেক (১-১)। ৫৯ মিনিটে মাঠে নামেন লিওয়ানডস্কি। তবে তিনি যে পুরোপুরি ফিট নন, তা স্পষ্ট তাঁর খেলাতেই। হেড করতে উঠে কনুই মেরে হলুদ কার্ডও দেখেন। ৬৬ মিনিটে অস্ট্রিয়ার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ক্রিস্টোফ বমগ্রাটনার (২-১)। ৭৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান আমাউটোভিচ (৩-১)। নক-আউটের দৌড়ে রইল অস্ট্রিয়া।