ডুসেলডর্ফ: দূরপাল্লার শটে জর্জিয়ার জাল কাঁপিয়ে চমকে দেন তুরস্কের আড্রা গুলার। বাঁ পায়ের প্রায় ৩০ গজের সোয়ার্ভিং শটে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা। ওই ম্যাচেই মালদুরের দুরন্ত ভলির নাগাল পাননি জর্জিয়া গোলরক্ষক। বুলেটের মতো বল জালে জড়ায়। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জেরদান শাকিরির চোখ ঝলসানো লক্ষ্যভেদ অন্যতম সেরা। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে দারুণ সব লং রেঞ্জার। ইউরোর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে বল হাওয়ায় কাটছে। ফলে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। একইসঙ্গে চাপ বাড়ছে গোলকিপারদের উপর। জোরালো শট সামলাতে বেশ বিব্রত তাঁরা। জোর চর্চা, কারিকুরির কেন্দ্রে ইউরোর নতুন ম্যাচ বল ‘ফুসবালিবে।’শুধু তাই নয়, ডেড বল মুভমেন্টের সময় ফোকাস হারালেই সমস্যা। ফ্রি-কিক বা কর্নারের ক্ষেত্রে সুইং মেশানো ফুটবলারদের অভ্যাস। আর তাই অ্যাডিডাসের নতুন বল চাবুকের মতো আছড়ে পড়ছে বিপক্ষ রক্ষণে। এই বল নিয়ে ইংল্যান্ডের তারকা স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের মন্তব্য, ‘এই ধরনের বলে স্ট্রাইকাররা সুবিধা পাবে। পায়ে-বলে যোগাযোগ ঠিকঠাক হলে বল রকেটের গতিতে ছুটবে।’ ডেনমার্কের গোলরক্ষক কাসপার স্কিমিচেল বলেছেন, ‘গোলরক্ষকদের কথা ভাবা উচিত। বল গ্রিপের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে বাধ্য।’
মেগা টুর্নামেন্টের আগে বল নিয়ে দীর্ঘ পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়। ইউরোও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথমবারের জন্য বল টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে। মাইক্রোচিপ রয়েছে বলে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কাছে প্রতি মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে তথ্য।