উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সিন্ধু প্রথমে পোস্ট করেন, ‘আমি অবসর নিচ্ছি। ডেনমার্ক ওপেনই আমার শেষ টুর্নামেন্ট ছিল।’ মুহূর্তে সিন্ধুর ঘোষণা ভাইরাল হয়ে যায়। আলোড়ন পড়ে যায় ক্রীড়া মহলে। সেটা বুঝতে পেরেই গোপীচাঁদের এই ছাত্রী ট্যুইট করে বুঝিয়ে দেন কেন তিনি এই ঘোষণা করলেন। দ্বিতীয় ট্যুইটে অবশ্য কিছুটা ধোঁয়াশা রেখেই লেখেন, ‘আমার এই সিদ্ধান্ত বহু ভক্তের হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেকে অবসর নিয়ে ধন্ধে পড়েছেন। তবে অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম। মহামারী আমার চোখ খুলে দিয়েছে। জীবনে অনেক লড়াই করে ম্যাচ জিতেছি। আবার হেরেছিও। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে গিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা খুবই কঠিন। ভাইরাসের ছোবলে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল চলছে। প্রতিনিয়ত এই খবর মন ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। এ ব্যাপারে নিজেকে অনেক প্রশ্ন করেছি। শেষপর্যন্ত অবসর নিলাম।’ শেষ তথা তৃতীয় ট্যুইটে নিজের মনোভাব খোলসা করেন বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন। তিনি বলেন, ‘আসলে ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-চিন্তা বাড়ছে। সর্বত্রই নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমি সেই দলে থাকতে চাই না। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে আমি অবসর নিচ্ছি। সবাই মিলে এই ভাইরাসকে হারাতে হবে। আর সেটা ইতিবাচক মানসিকতার সঙ্গে।’
রিও ওলিম্পিকসে রুপো জয়ী সিন্ধু আরও লিখেছেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে চাই। মারণ ভাইরাস আটকাতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। আমার প্রথম পোস্টটি হয়তো বহু ভক্তকে আঘাত দিয়েছে। আসলে আমি বলেছি, অন্ধকার সরে গিয়ে একদিন আলো ফুটবেই। আর আমার উল্লেখিত ডেনমার্ক ওপেন তো অনুষ্ঠিতই হয়নি। তাও আমি ট্রেনিং করে গিয়েছি। কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে দ্বিগুণ উৎসাহে রুখে দাঁড়িয়েছি। ভয়কে জয় করেছি। দেশবাসীও এই ঘাতক ভাইরাসের সামনে হাল ছেড়ে না দিয়ে আরও সচেতনতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করুক।’