উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
আরব আমিরশাহীর মাটিতে এবারের আইপিএলে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের। প্রথম সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতে হেরে ঘোর সংকটে পড়ে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের নিদর্শন গড়ে টানা পাঁচটি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ব্যাট হাতে দুরন্ত ফর্ম মেলে ধরেও সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে পারেননি অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ১৪ ম্যাচে ৫৫.৮৩ গড়ে ৬৭০ রান করেও ট্র্যাজিক হিরো বনে গিয়েছেন তিনি। তবু ব্যর্থতার জন্য কাউকে সরাসরি দায়ী করতে নারাজ রাহুল। বরং দার্শনিকের সুরে তিনি বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমরা এক সঙ্গে লড়েছি। কখনও জিতেছি, আবার কখনও হেরেছি একই সঙ্গে। তাই ব্যর্থতার দায়ও সকলে মিলে ভাগ করে নেব। আমরা হতাশ। তবে ছেলেদের বলেছি ভেঙে পড়লে চলবে না। পরের আইপিএলে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে আসরে ফিরব আমরা।’
পাশাপাশি তরুণ ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘প্লে-অফে উঠতে না পারলেও যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। বেশ কিছু ম্যাচে অল্পের জন্য না হারলে আমাদের দৌড় এখানেই থামত না। অবশ্য তা নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নেই। বরং ইতিবাচক যা কিছু ঘটেছে তার উপর ভিত্তি করেই সামনে তাকাতে হবে। বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। চাপের মুখেও দৃঢ়তার প্রমাণ রেখেছে। তাদের জন্য খারাপ লাগছে। আমার বিশ্বাস, এবারের ব্যর্থতা ওদের আরও পরিণত ক্রিকেটার করে তুলবে।’
রাহুলের ওপেনিং পার্টনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালও ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। পাঞ্জাবের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪২৪ রান করেছেন তিনি। মায়াঙ্কের কণ্ঠেও ধরা পড়েছে প্লে-অফে উঠতে না পারার হতাশা। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের মাঝপথে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে এসেছিলাম আমরা। মনে হচ্ছিল, আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। কিন্তু শেষ দিকে আবার কেন যেন এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু। এভাবে আসার ছাড়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’